বারডেম হাসপাতালে রোগী সিরাজুল ইসলামের মৃত্যু ও এরপর সংঘটিত দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনায় দুটি পাল্টাপাল্টি মামলা দুইটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশসহ আগামী ২৮ মে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের আদালতে এই পাল্টাপাল্টি মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
প্রথমে ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ মামলার অপর আসামিরা হচ্ছেন- সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের এপিএস ইসহাক হোসেন বাবু, সিরাজুল ইসলামের আত্মীয় ফারহানা নাসরিন এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র জাকির হোসেদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে হাসপাতালে প্রবেশ মারধরসহ চুরির অভিযোগ আনা হয়।
হাসপাতালের সিনিয়র নিরাপত্তা সুপারভাইজার মানিক বড়ুয়া একটি মামলা দায়ের করেন। দণ্ডবিধির ১৪৭/১৪৮/৩৫৪/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩৭৯/৪৪৭/৪২৭/১০৯ও১৪৯ ধারা মামলাটি দায়ের করেন।
এরপরে নিহতের মেয়ে ফারহানা নাছরিন বাদী হয়ে তার পিতার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে দণ্ডবিধি ৩০৪(খ)/৩৪ ধারায় একই আদালতে পাঁচ ডাক্তারকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন, ডা. আজাদ, ডা. আনোয়ার হোসেন, ডা. ফিরোজ আমিন, ডা. কল্যাণ দেবনাথ ও ডা. শামীমা আক্তার।
আদালত উভয় মামলায় বাদীদের জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ এপ্রিল রাতে বারডেমে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তিন চিকিৎসককে বেধড়ক মারপিট করে স্বজনরা। মারপিটের নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলার গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ। ১৫ এপ্রিল চিকিৎসকরা এর প্রতিবাদে বেলা ১১টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা দেন। পরদিন বুধবার মাসুদকে প্রত্যাহারের পর বারডেমের চিকিৎসকরা তাদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেন।