1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন

ফুলে ফুলে ভরে উঠছে স্মৃতিসৌধ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩
  • ৮৬ Time View

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে পাওয়া বিজয়ের দিন আজ। আজ সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর। আজ বিজয়ের ৪২ বছর পূর্তি। আনন্দের এই ক্ষণে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভরে উঠেছে ফুলে ফুলে।

আজ ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা।

সকাল ছয়টা ৩৯ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন বাহিনীর একটি দল শহীদদের প্রতি জানায় সশস্ত্র সালাম। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

এরপর ছয়টা ৪৩ মিনিটে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে নেতা-কর্মীদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। পরে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী।  পরে শহীদদের উদ্দেশে ১৪-দলের নেতা-কর্মীরা, তিন বাহিনীর প্রধান ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের শ্রদ্ধা জানানো শেষে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে নামে জনস্রোত। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে স্মৃতিসৌধের বেদিমূল।

এদিকে সকাল আটটা পাঁচ মিনিটে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তাঁর সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়ের দিনটিতে আনন্দের পাশাপাশি বেদনাও বাজবে বাঙালির বুকে। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় জাতি স্মরণ করবে জানা-অজানা সেসব শহীদকে। যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল ভোগ করে পেরিয়ে গেল ৪২ বছর। কিন্তু যারা সেই সংগ্রামের উত্তাল দিনে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে হাত মিলিয়েছিল ঘাতক পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে, সেই রাজাকার-আলবদরদের বিচার না করার কলঙ্ক যেন অনেকটাই ম্লান করেছিল জাতির এই শ্রেষ্ঠ অর্জনকে। দিনে দিনে গণদাবিতে পরিণত হয়ে ওঠা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ অবশেষে শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার মাস ২০১০ সালের মার্চে। এ বছর ‘মিরপুরের কসাই’ বলে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করায় সেই কলঙ্কের দায় মুক্তির সূচনা ঘটেছে। জাতির বিজয়ের আনন্দে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। তবে জাতীয় সংসদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে বিদ্যমান অস্থির পরিস্থিতি এবং যুদ্ধাপরাধের সাজা কার্যকর করার পর থেকে সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের সহিংস তত্পরতা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। এ পরিস্থিতিতেই পালিত হচ্ছে এবার বিজয় উত্সব।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনী নিয়োজিত থাকায় এ বছর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ