কাথিমেরিনি দৈনিকে প্রকাশিত এক মন্তব্যে রবিবার রাষ্ট্রদূত নোম কাৎজ বলেছেন, এথেন্সের মেয়র হ্যারিস ডোউকাস ইহুদিবিদ্বেষী গ্রাফিতি অঙ্কণকারী ‘সংগঠিত সংখ্যালঘুদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এর ফলে ইসরায়েলের পর্যটকরা এথেন্সে এসে ‘অস্বস্তি বোধ’ করেন।
কাথিমেরিনি দৈনিকে প্রকাশিত এক মন্তব্যে রবিবার রাষ্ট্রদূত নোম কাৎজ বলেছেন, এথেন্সের মেয়র হ্যারিস ডোউকাস ইহুদিবিদ্বেষী গ্রাফিতি অঙ্কণকারী ‘সংগঠিত সংখ্যালঘুদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এর ফলে ইসরায়েলের পর্যটকরা এথেন্সে এসে ‘অস্বস্তি বোধ’ করেন।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ মন্তব্যের জবাবে ডোউকাস এক্সে বলেন, ‘আমরা সহিংসতা ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় বিরোধিতা প্রমাণ করেছি এবং যারা বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে তাদের কাছ থেকে আমরা গণতন্ত্রের শিক্ষা গ্রহণ করি না।’
সমাজবাদী পাসক দলের এ মেয়র আরো বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশের রাজধানী এথেন্স তার দর্শনার্থীদের পূর্ণ সম্মান করে ও তার নাগরিকদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে সমর্থন করে। গাজায় এক নজিরহীন গণহত্যা চলাকালীন রাষ্ট্রদূত গ্রাফিতিতে (যা স্পষ্টভাবে মুছে ফেলা হয়েছে) মনোযোগ দিচ্ছেন, এটা খুবই বিরক্তিকর।’
গ্রিসসহ ইউরোপের আরো বেশ কয়েকটি দেশে বামপন্থীদের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দেখা গেছে।
কয়েক দশক ধরে আরবপন্থী নীতি অনুসরণ করলেও ২০১০ সাল থেকে গ্রিস ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ও জ্বালানি খাতে তারা সম্পর্ক উন্নয়ন করেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ক্রমবর্ধমান হারে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রিসে ভ্রমণ করেছেন ও গ্রিসের সম্পত্তি বাজারে বিনিয়োগ শুরু করেছেন।
সূত্র : এএফপি