সাকিব-তামিমের ভিক্টোরিয়ার জয়

সাকিব-তামিমের ভিক্টোরিয়ার জয়

দেশবিদেশের নামিদামি সব ক্রিকেটার নিয়ে কেমন খেলছে পুর্নজন্মের ভিক্টোরিয়া; তার খোঁজখবর করতে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের বেশ আগ্রহ, কৌতুহলও বলা যায়। কাগজের সেরা দল মাঠে অপ্রত্যাশিত কিছু করে ফেলে কি না আগ্রমের মূলে ছিলো ওটাই। শেষপর্যন্ত তা হয়নি, ভিক্টোরিয়া ২১ রানে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান ক্রিকেট ক্লাবকে।

কলাবাগান এবং ক্রিকেট কোচিং স্কুলের (সিসিএস) মধ্যে কে ফেভারিট এনিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু মাঠের খেলায় কলাবাগানকে ৩৮ রানে হারিয়ে সিসিএস প্রমাণ করে দিয়েছে তারাই ফেভারিট। ওদিকে ওল্ডডিওএইচএস যোগ্য দল হিসেবেই পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে সূর্য তরুণকে।

রান তোলার জন্য ফতুল্লা খান সাহেব ওসামন আলী স্টেডিয়ামে আদর্শ উইকেট হওয়ায় ব্যাটপ্যাচে থাকা তামিম ইকবালও ভিক্টোরিয়ার হয়ে প্রথম ম্যাচে ৯৬ বলে আটটি চারের মার দিয়ে ৭৪ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেছেন। পাকিস্তানি ক্রিকেটার আহমেদ সেহজাদকে নিয়ে ৫০ রানের এবং জহুরুল ইসলামকে নিয়ে ১১৯ রানের জুটি হয় তামিমের। অলরাউন্ডার সেহজাদ ৩৩ করেছেন। জাতীয় দলের আরেক ব্যাটসম্যান জহুরুল ইসলাম লিগের প্রথম ম্যাচেই শতক হাঁকিয়েছেন। ১০টি চার ও দুটি ছয় মিলিয়ে ১১৩ বলে ১০৫ রান নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ভিক্টোরিয়ার ৩১১ রানের ইনিংস তামিম, জহুরুলের চেয়েও পাকিস্তানের কামরান সাজিদের ৫৭ রানের ঝড়ো ইনিংস দারুণ কাজে দিয়েছে। চারটি চার ও দুটি ছয়ের মার মিলিয়ে ৩৯ বলে দুর্দান্ত খেলেছেন পাকিস্তানি ওই ব্যাটসম্যান। ভিক্টোরিয়া যে সাতটি উইকেট হারিয়েছে তাতে অধিনায়ক সাকিবের (১২ রান) এবং সৌম্য সরকারও (২ রান) আছেন। বিমানের সাঈদ তিনটি ও ফাওয়াদ আলম দুটি উইকেট নেন।

ভিক্টোরিয়াকে পাল্টা জবাবটা ভালোই দিচ্ছিলো বাংলাদেশ বিমান। যদিও শেষপর্যন্ত খেলে নয় উইকেটে ২৯০ রানের বেশি করতে পারেনি দলটি। উদ্বোধনী জুটিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যান অভিষেক মিত্র এবং জুনায়েদ সিদ্দিক ৩০.১ ওভারে ১৫৮ রান যোগ করলে জয়ের সুবাসই পাচ্ছিলো বিমান। জুনায়েদ ৭১ রান করে আউট হয়ে গেলে দ্বিতীয় জুটিতে ভালো রান প্রয়োজন ছিলো। তা আর হলো কোথায়, ১.২ ওভার পরেই অভিষেক ৮৪ রান নিয়ে মোশারফ হোসেনের বলে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন। ১০১ বল খেলে ১০ চার ও দুটি ছয়ও হাঁকিয়েছেন তিনি। এরপর জাতীয় দলের সাবেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জাভেদ ওমর ছাড়া কেউ শোভন স্কোর করতে পারেননি। চরিত্রের বিপরীতে ব্যাটিং করে ৫৪ বলে ৬৪ রান করেছেন বিমানের অধিনায়ক। ছয়টি চার ও একটি ছয়ও হাঁকিয়েছেন। ভিক্টোরিয়ার আলামিন হোসেন দুটি ও মোশারফ হোসেন তিনটি উইকেট পেয়েছেন।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে সিসিএস’র শুরুটা ভালো না হলেও দুই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান যুবায়ের আহমেদ ৫২ এবং সুলাইমান খান ৬৭ রান করলে ৪৭.৫ ওভারে অল-আউটের আগে ২০৪ রানের সংগ্রহ পায়। সপ্তম উইকেটে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার সুলাইমান ও যুবায়েরের মধ্যে ৯৮ রানের জুটি হয়। সাহাদাত হোসেন তিনটি, সোহাগ গাজী ও রিফাত উল্লাহ দুটি করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে কলাবাগান। রিফাত ৪৯ ও আবিদ আলীর ৩৬ রানই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস।

এদিেেক বিকেএসপি মাঠে সূর্য তরুণ আগে ব্যাট করে ১৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। খুররম মঞ্জুর ৭১ ও তৈমুর রহমান ৩৪ রান করেন। এনামুল হক জুনিয়র তিনটি, মোহাম্মদ আশরাফুল, মোহাম্মদ শরিফ ও জোহাব খান দুটি করে উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের রান নিয়ন্ত্রণে রাখেন। এর জবাবে নাসির জামশেদ ৮৪, অধিনায়ক আশরাফুল ২৭, ফয়সাল হোসেন ২১ ও তানভির হায়দার অপরাজিত ৩৪ রান করলে ৪৫ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৯০ রান তুলে ফেলে ওল্ডডিওএইচএস।

খেলাধূলা শীর্ষ খবর