1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন

যাদের অভিযুক্ত করলেন পরীমণি

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১
  • ৩১ Time View

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। রোববার (১৩ জুন) রাত ৮টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে এ অভিযোগ আনলেও সেখানে কারও নাম প্রকাশ করেননি তিনি। তবে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের কাছে ‘নির্যাতনকারীদের’ নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন পরীমণি।

পুরো ঘটনার জন্য দুজনকে দায়ী করেছেন রঙিন পর্দার সদা হাস্যোজ্জ্বল এ নায়িকা। তাদের একজন রাজধানীর উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাছির ইউ মাহমুদ, অন্যজন পরীর কস্টিউম ডিজাইনার জেমির স্কুলবন্ধু অমি নামের এক ব্যবসায়ী।

পরীমণি জানান, গত বুধবার (৯ জুন) রাত ১২টায় নতুন একটি প্রজেক্টের মিটিংয়ের কথা বলে তাকে বিরুলিয়ায় অবস্থিত বোট ক্লাবে নিয়ে যান অমি। পরী সেখানে গিয়ে দেখেন নাসির ইউ মাহমুদসহ চার-পাঁচজন টেবিলে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে পরীমণিকে পরিচয় করিয়ে দেন অমি। পরীকে নাসির ইউ মাহমুদ মদপানের প্রস্তাব দিলে পরী সেটি নাকচ করেন। এরপর তাকে কফি খেতে দেওয়া হয়। কফির কাপে তিনি চুমুক দিলেও স্বাদ খানিকটা অস্বাভাবিক মনে হয়। তাই তিনি আর কফি পান করেননি।

পরী জানান, টেবিলে থাকা ঠাণ্ডা পানীয়তেও তিনি মুখ দেননি। বিপরীতে বারবার এগুলো পান করার জন্য জোর করছিলেন নাসির ইউ মাহমুদ। সেটি না শোনায় পরীর ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। এরপর টেবিল থেকে উঠে ওয়াশরুমে যেতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। বাসায় যেতে চাইলেও দেওয়া হয়নি।

পরীমণি বলেন, ‘নাসির ইউ মাহমুদ আমাকে লাথি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দেন। মুখের ভেতর জোর করে মদের বোতল ঢুকিয়ে দেন। এতে দাঁতে আঘাত লাগে এবং কিছু মদ গলায় যায়। গলা ও বুক জ্বলতে থাকে। আমি তখনই খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার সঙ্গে থাকা জেমি তখন চিৎকার ও কান্না শুরু করলে আমাদের ধর্ষণের হুমকি এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন নাসির ইউ মাহমুদ।’

পরী জানান, সেখানে অনেকক্ষণ ধরে অচেতন অবস্থায় ছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে কী ঘটেছিল তাও তিনি জানেন না। কীভাবে তিনি সেখান থেকে এসেছেন তাও তার জানা নেই। একপর্যায়ে নিজেকে তার গাড়িতে দেখতে পান বলেও জানান। পরী বলেন, ‘এ সময় আমার কাপড় ভেজা ও ফাটা ছিল।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার বেশির ভাগ সময় জুড়ে পরীমণির চোখে ছিল জল। তিনি বারবার বলছিলেন, তাকে মেরে ফেলা হতে পারে। বাসায় থেকে পাহারা দেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধও করেন জনপ্রিয় এ নায়িকা।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তার আকুতি ছিল এমন- ‘আপনারা পাঁচ মিনিট কেমনে দেখতেছেন, আমি চার দিন ধরে… আমি পাগল হয়ে গেছি ভাইয়া। আমি সুস্থ নাই মানসিকভাবে। আমি না পাগল হয়ে গেছি ভাইয়া, আমি পাগল হয়ে গেছি। আমার জায়গায় থাকলে আপনারা কেউ কথা বলতে পারতেন না।’

পরীমণি জানান, ঘটনার সময় নাছির ইউ মাহমুদ নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। পরবর্তীতে জানা গেছে, সভাপতি নন, নাসির ইউ মাহমুদ বর্তমানে ঢাকা বোট ক্লাবের এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি পদে আছেন।

কে এই নাছির ইউ মাহমুদ?

২০১৫ সালে উত্তরা ক্লাবের সভাপতি পদে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন শিল্পপতি নাসির ইউ মাহমুদ। নির্বাচনে নাসির ইউ মাহমুদ ৬৭২ ভোট পান। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। তিনি ঢাকা বোট ক্লাবের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন।

নাছির ইউ মাহমুদের ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায়, তিনি কুঞ্জ ডেভেলপারসের চেয়ারম্যান (বর্তমান), উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি, লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের সাবেক জেলা চেয়ারম্যান, ঢাকা প্রথম বিভাগে খেলা একজন সাবেক ফুটবলার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের সাবেক নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া তিনি একজন প্রভাবশালী শিল্পপতি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ