1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

শ্যামপুরে ১৮টি কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯
  • ২২ Time View

পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টিম ও ঢাকা মহানগরের যৌথ অভিযানে রাজধানীর শ্যামপুর কদমতলী শিল্প এলাকায় বায়ুদূষণ বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৮টি কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ ও একটি কারখানার সংযোগ গ্যাস বিচ্ছিন্ন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

আজ সোমবার দুপুর ১টা দিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রুবিনা ফেরদৌসের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়।

যেসব কারখানায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়- এ মজিদ অ্যান্ড সন্স ডাইং; কদমতলী ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং; মাসুদ টেক্সটাইল; জেদ্দা ডাইং; সোনিয়া ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং; আজিজ মেটাল; আলিফ মেটাল; মেসার্স অগ্রণী মোল্ডিং; এডেক্স কর্পোরেশন (অরবিট মেটাল ইন্ডা.); মেসার্স খান রেডিমিক্স; মতলব আয়রন; এস এস ইলেক্ট্রপ্লেটিং ওয়ার্কস; মোহাম্মদীয়া পাইপ; পারফেক্ট ওয়ার; এম কে ডাইং; রাফসান ডাইং; মিল্লঅত ডাইং ও নিউ মিল্লাত মারুফ ডাইং।

অভিযানে রুবিনা ফেরদৌস বলেন, ‘যেসব কারখানায় তরল বর্জ্য থাকে সেখানে ইটিপি (তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার) ও এটিপি (এয়ার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু আমরা যেসব কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি তাদের ইটিপি ও এটিপি ব্যবস্থা নেই। তাই আদালতের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি।’

আদালতের কী নির্দেশ আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ আছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে কারখানা তো বন্ধ হয়েই যাবে।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের এই পরিচালক আরো বলেন, ‘এখানে যে কারখানাগুলো আছে তার অধিকাংশের বায়ুদূষণ রোধ সংক্রান্ত কোনো ব্যবস্থা নেই। আজ আমরা ১৪টি কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। এ ছাড়া ২৫টি কারখানায় আদালতের তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে ওগুলোতেও আমরা অভিযান চালাব।’

এর আগে বায়ুদূষণ বিরোধী অভিযান চালাতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাব ও পুলিশ নিয়ে হাজির হন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি অভিযানে অংশ নিতে ওয়াসা ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারাও আসেন।

র‌্যাব ও পুলিশ নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা শ্যামপুর লাল মসজিদের সামনে উপস্থিত হওয়ার পর মসজিদের বিপরীত দিকে অবস্থিত সালমান প্লাজা সুপার মার্কেটের সামনে অবস্থান নেন একদল শ্রমিক। এরপর দুপুর ১২টার দিকে ঘটনা স্থলে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বাবলা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি অভিযান না চালানোর অনুরোধ করেন। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনা করে অভিযানে নামেন পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

কর্মকর্তারা অভিযানে বের হলে সংসদ সদস্য বাবলা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ রয়েছে। সুতরাং অভিযান চালাতে হবে। ওনারা এখন অভিযান চালাবেন।’

অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহানগরের পরিচালক সোহরাব আলী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাকসুদুল ইসলাম ও কাজী তামজিদা আহমেদ অভিযানে অংশ নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ