1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন

জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের স্থলে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর করার দাবি

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
  • ১৭ Time View

বন্দরনগরী চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের স্থলে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর করার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম থেকে সাত বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর করা অত্যন্ত লজ্জাকর ঘটনা। তাই চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর না করে চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর করার প্রস্তাব করছি।

আজ সোমবার রাতে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান। প্রথমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ আলোচনায় আরো অংশ নেন সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মো. জোয়াহেরুল ইসলাম, আহসানুল ইসলাম টিটু ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির আহসান আদেলুর রহমান।

মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ২৬ মার্চ বেলা ২টা ১৫ মিনিটে আমাদের চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান, আমাদের আতাউর রহমান ও আমার সামনে সর্বপ্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা বঙ্গবন্ধু ১২টার মধ্যে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে পাই। পরে আমরা রিকশায় চড়ে মাইকে করে প্রচার করতে থাকি। পরবর্তীতে সেই সার্কিট হাউজকে জিয়া স্মৃতি যাদুঘর করা হয়েছে। এটা আমি মনে করি অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার হয়েছে। কয়েক শ বছরের পুরনো জাদুঘর এটি। ২৬ মার্চের পর দিন অর্থাৎ ২৭ মার্চ আমি ও মেজর রফিক এবং হান্নান ভাইসহ আমরা সেখানে গিয়ে প্রথম পতাকা উত্তোলন করি। সেখানে পাক হানাদারদের টর্চার সেল ছিল।

তিনি আরো বলেন, সেখানে জিয়াকে হত্যা করা হয়েছিল কি কারণে হত্যা করা হয়েছিল জানি না। কাজেই যেখানে তাকে হত্যা করা হয়েছিল সেই জায়গাটুকু স্মৃতি চিহ্ন ধরে রাখলেও আমাদের আপত্তি থাকবে না। তবে আমাদের চট্টগ্রামে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে, তাদের স্মৃতি সেখানে প্রদর্শিত হবে। সেখানে সার্কিট হাউজের ইতিহাস সংরক্ষণের দাবি জানান তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে দেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। বিগত ১০ বছরে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০ হাজার ৪০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়। এখন দেশের অধিকাংশ এলাকা শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। তিনি বিগত ১০ বছরে আবাসন খাতে সরকার গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং এসব প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
সরকারি দলের সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে তারেক রহমানের ফাঁসির দাবি করেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের অন্য সদস্যরা বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার মাধ্যমে গত ১০ বছরের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সময়ে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।

তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে এক নাগাড়ে তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় আসার ফলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মাধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। এ জন্য বর্তমান উন্নয়নের গতি আরো বাড়াতে তারা পরামর্শ দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ