1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৫ অপরাহ্ন

দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে আইটি পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
  • ১৯ Time View

প্রতিটি জেলায় একটি করে তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান।

সরকারি দলের সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় আইটি পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে এখন জায়গা নির্ধারণ ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। খুব দ্রুত এই কাজগুলো করা হচ্ছে। দ্রুততার সাথে দেশের প্রতিটি জেলায় আইটি পার্ক স্থাপন করা সম্ভব হবে।

আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার, ট্যাব এবং মোবাইল ফোনের মাদারবোর্ড তৈরি করবে। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের পথচলার ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরের বাজেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কম্পিউটারের উপর থেকে শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়। আজকের বাংলাদেশে কম্পিউটারের যে প্রভাব, বিস্তার এবং বিস্তৃতি ঘটেছে এর পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে এই সিদ্ধান্তটি। ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘বাংলাদেশ কম্পিউটার বানাবে এবং তা বিদেশে রপ্তানি করবে’। বাংলাদেশ এখন কম্পিউটার বানায় এবং রপ্তানি করে। স্যামসাংয়ের মতো কোম্পানী এখন বাংলাদেশে এসে মোবাইল ফোন সংযোজন করে।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে কমপক্ষে ৬টি মোবাইল কারখানা চালু হয়েছে, আরো ৬টি মোবাইল ফোন কারখানা চালু হবে। পৃথিবীর বিখ্যাত দেশগুলো এখন বাংলাদেশকে ঠিকানা হিসেবে নিচ্ছে। এদেশ থেকে যন্ত্রাংশ তৈরি করে তারা বিদেশে নিয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য আমদানী করা পণ্যের চেয়ে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ কমে পাওয়া যেতে পারে। সুতরাং আমরা দামের সাশ্রয়ী জায়গায়ও গিয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সামান্য ভর্তুকি দিলে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় দাম কমিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কমমূল্যে ডিজিটাল ডিভাইস পৌছে দিতে পারবে।

অপর এক প্রশ্নের জাজে মন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর স্বত্ব (মালিকানা) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়নি, এটি দেশের জনগণের সম্পত্তি। সে কারণে স্যাটেলাইটের স্বত্ব নিয়ে যেসব কোম্পানি বা ব্যক্তিবর্গের নামে লিজ দেওয়ার তথ্য খবরের কাগজ বা গণমাধ্যমে আসে, তা সত্য নয়।

এর আগে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমাম মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ‘বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর বের হয়েছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের স্বত্ব শুধুমাত্র বেক্সিমকো ও অন্য একটি কোম্পানির কাছে বিক্রি করা আছে। কেউ যদি এ স্যাটেলাইটের সুবিধা নিতে চান তা হলে এ দু’টি কোম্পানির কাছ থেকে কিনতে হবে’ এটি সত্যি কি-না?

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ