1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৪ অপরাহ্ন

‘রবীন্দ্রনাথ বাঙালির ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের উজ্জ্বল বাতিঘর’

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৯ মে, ২০১৮
  • ৩৫ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ বাঙালির ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের উজ্জ্বল বাতিঘর।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আগামীকাল ১৫৭তম জন্মবার্ষিকী।‘এ উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির অহংকার, বিশ্বসাহিত্যের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে তিনি (রবীন্দ্রনাথ) বিস্তৃত করেছেন বাংলা সাহিত্যের পরিসর। কালজয়ী এ কবি জীবন ও জগৎকে দেখেছেন অত্যন্ত গভীরভাবে, যা তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ ও ভ্রমণকাহিনী, সংগীত ও চিত্রকলায় সহ¯্রধারায় উৎসারিত হয়েছে।

তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। সাহিত্য, সংগীত ও শিল্প চর্চার মাধ্যমের প্রতিটি শাখায় তাঁর অনন্য ও অনায়াস বিচরণ সত্যিই বিস্ময়কর। বিশ্বকবির সমস্ত সৃষ্টির মূলে নিহিত মানবতাবাদ তাঁকে বিশিষ্টতা দান করেছে। শান্তি ও মানবতার কবি রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃতির চিরন্তন সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যের সাধক। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যের বৈশ্বিক যাত্রাকে বেগবান করেছেন। বিশ্ব দরবারে বাংলা সাহিত্যকে উচ্চ মর্যাদায় আসীন করেছেন।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ২৪ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রবীঠাকুরের লেখনী ‘আমাদের উজ্জীবিত করেছে’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর (রবীন্দ্রনাথ) জাতীয়তাবোধ বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস। কবির প্রতি অন্তহীন ভালোবাসায় ১৯৬১ সালে পাকিস্তানি শাসকচক্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ‘আমরা রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন করেছি’।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান মুক্তিকামী বাঙালিকে উদ্দীপ্ত করেছে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জীবনের প্রতিটি সমস্যার-সংকট, আনন্দ-বেদনা এবং আশা-নিরাশার সন্ধিক্ষণে রবীন্দ্রসৃষ্টি আমাদের চেতনাকে আন্দোলিত করে, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। আমাদের চিন্তা, বোধ ও অনুভূতিতে তিনি (বিশ্বকবি) আমাদের হৃদয়ের কাছের মানুষ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন,রবীন্দ্রনাথ ছিলেন জীবনমুখী শিক্ষাদর্শনের পথপ্রদর্শক। তাঁর শিক্ষাভাবনা আমাদের বিজ্ঞানভিত্তিক, আধুনিক শিক্ষায় অগ্রগামী হতে অনুপ্রাণিত করে। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের কাছে তিনি একান্ত আপনজন। শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরে অবস্থানকালে এসব অঞ্চলের মাটি ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। শিলাইদহ ও পতিসর অঞ্চলেই তিনি রচনা করেছিলেন ‘ছিন্নপত্র’র সিংহভাগ এবং অসামান্য কিছু গান। গ্রামীণ দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য তাঁর পল্লিউন্নয়ন প্রচেষ্টা আজও ‘আমাদের কাছে অনুসরণীয় হয়ে আছে’।

শেখ হাসিনা বলেন,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কালোত্তীর্ণ এ কবির সৃষ্টিকে প্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। কবিগুরুর অমর সৃষ্টি ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি জাতির পিতা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেন, যা দেশের মানুষের মনে সঞ্চারিত করেছে দেশপ্রেমের নতুন প্রেরণা। অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে, জীবন-সংগ্রামের প্রতিটি ক্রান্তিকালে ‘আমাদের পাশে থাকেন রবীন্দ্রনাথ’।

তিনি বলেন,‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের মননে বিশ্বকবির ব্যঞ্জনাময় উপস্থিতি শোষণ, বঞ্চনা, সাম্প্রদায়িকতা, সহিংসতা ও অমানবিকতা প্রতিরোধের মাধ্যমে বাঙালির অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে।’

শেখ হাসিনা বলেন,বিশ্বকবির ১৫৭তম জন্মবার্ষিকীতে সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিময় পৃথিবী গড়াই হোক ‘আমাদের প্রত্যয়’।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ