1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪১ অপরাহ্ন

দুতার্তের ১৪ মাসের অভিযানে নিহত সাড়ে ১২ হাজার

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭
  • ৫৯ Time View

গত বছরের জুনে ক্ষমতায় আসার পর মাদকবিরোধীদের নির্মূলের অঙ্গীকার করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। তার ক্ষমতার ১৪ মাসে মাদক চোরকারবারীর অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১২ হাজার মানুষ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছে।

নিহতদের স্বজনদের অনেকেই বলছেন, দুতার্তের গোয়ার্তুমির কারণে মাদক চোরাকারবারির নামে নিরাপরাধ মানুষকেও হত্যা করা হচ্ছে।

পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো নিজের ছেলেকে নিষ্পাপ দাবি করেছেন এক মা। রোববার তার ছেলের অন্তেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেয়া শোকাহত লোকজন পুলিশি হত্যার প্রতিবাদ করেছেন। প্রেসিডেন্ট দুতার্তের রক্তাক্ত অভিযানের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ ও ক্রোধ যে বাড়ছে তারই ইঙ্গিত মিলছে অন্তেষ্টিক্রিয়ায়।

philipine

২০১৬ সালের জুনে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন রদ্রিগো। তার পর থেকে ক্ষুদ্র মাদক ব্যবহারকারী এবং ডিলারসহ প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মানুষ পুলিশি অভিযানে নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, এদের মধ্যে সাড়ে তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোলাগুলিতে; আত্মরক্ষার সময়।

রোববার শোকাহত কয়েক ডজন মানুষ সাদা রঙয়ের টি-শার্ট পরে প্রতিবাদে নামেন। টি-শার্টে স্লোগান হিসেবে দেখা যায়, ‘মাদক শেষ কর, মানুষ নয়’। পুলিশের গুলিতে নিহত লিওভার মিরান্ডা নামে এক তরুণকে ম্যানিলার একটি কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

চলতি মাসে মাদক বিরোধী অভিযানে মিরান্ডা নিহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করলেও স্বজনরা বলছেন, সে ছিল নিরাপরাধ। তার মা ৬৯ বছর বয়সী এলভিরা মিরান্ডা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমার ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার চাই।’

‘আমার ক্ষমতাশালী কোনো বন্ধু নেই, আমি জানি না কি করতে হবে। তবে এই নির্দয় হত্যাকাণ্ডের পেছনে জড়িতদের শাস্তি চাই।’

philipine

ফিলিপাইনের অধিকাংশ মানুষই মাদকবিরোধী অভিযান সমর্থন করেন এবং দুতার্তে এখনো দেশটিতে একজন জনপ্রিয় নেতা। কিন্তু সম্প্রতি গুলিতে ৯০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির পর এসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রোববার দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী দুইজন ক্যাথলিক বিশপ সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলেন। নিহতদের জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানান তারা।

‘আমরা তাদের বিবেকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যারা অসহায় মানুষকে হত্যা করছে, বিশেষ করে যারা তাদের মুখ ঢাকছেন…মানুষের জীবন নষ্ট করা বন্ধ করতে’- বলেন ম্যানিলার আর্চ বিশপ অ্যান্টনিও ট্যাগলে।

দেশটির অপর এক জ্যেষ্ঠ আর্চ বিশপ সক্রেটস ভিলেগাস কর্তৃপক্ষের টনক নাড়িয়ে দিতে প্রত্যেকদিন রাত ৮টার দিকে চার্চগুলোতে ঘণ্টাধ্বনি বাজানোর আহ্বান জানান। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘খুন করবেন না। এটা এক ধরনের পাপ। আইনের বিরোধী।’

জনগণের মাঝে তীব্র ক্ষোভের শুরু গয় গত সপ্তাহে; যখন দেশটির ১৭ বছর বয়সী এক স্কুল শিক্ষার্থীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে পুলিশ। টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কিয়ান লয়েড ডেলস নামের ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে দুই ব্যক্তি একটি স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। পরে সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, সে পুলিশের দিকে গুলি ছুঁড়েছে। যে কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন দেশটির সুশীল সমাজের কিছু মানুষ ও বামপন্থী অ্যাক্টিভিস্টরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন।

ম্যানিলার মেট্রো পুলিশের প্রধান অস্কার আলবায়ালদ বলেন, তিনি ক্যালুকান শহরের পুলিশ প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন। এই শহরেই স্কুলশিক্ষার্থী কিয়ানকে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযানে জড়িত তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

দেশটির বিচার বিভাগ তদন্ত শুরু কেরেছে। হঠাৎ বাড়তে থাকা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চলতি সপ্তাহে পুলিশকে তলব করবে দেশটির সিনেট।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ