1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন

ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদের দাফন সম্পন্ন

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২১ মে, ২০১৭
  • ১০৫ Time View

‘অপরাজেয় বাংলা’র স্থপতি ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদের লাশ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় মরহুমের লাশ ‘অপরাজেয় বাংলা’র পাদদেশে নেয়া হলে সেখানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিল্পী, সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানায়।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বারডেম হাসপাতাল থেকে খালিদের লাশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। সেখানে চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী, নাট্যজন ম. হামিদসহ অন্য শিল্পী ও চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ সম্পর্কে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতার পক্ষের সব আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি আমাদের পাশে ছিলেন। তিনি পোস্টার এঁকে সেগুলো মিছিলে নিয়ে আসতেন। তার গড়ে যাওয়া অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যটি এখনো আমাদের সব আন্দোলন-সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘অপরাজেয় বাংলা তার অমর সৃষ্টি, যা তাকে সারাজীবন জীবিত রাখবে। এ ভাস্কর্যের মধ্য দিয়ে তিনি যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম সে পথে চলবে।’

শনিবার রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে আবদুল্লাহ খালিদ ৭৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।

আব্দুল্লাহ খালিদ সিলেট জেলা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে তৎকালীন কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড ক্রাফ্টস (বর্তমান চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে চিত্রাঙ্কন বিষয়ে স্নাতক এবং পরে ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিত্রাঙ্কন ও ভাস্কর্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য বিভাগে শিক্ষকতা দিয়ে আব্দুল্লাহ খালিদ তার কর্মজীবন শুরু করেন।

১৯৭২ সালে সেখানকার প্রভাষক থাকাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর উদ্যোগে কলাভবনের সামনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ‘অপরাজেয় বাংলা’র নির্মাণের দায়িত্ব পান।

অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে তিনি ১৯৭৩ সালে ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ শুরু করে ১৯৭৯ সালে ১৬ ডিসেম্বর নির্মাণ শেষ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ