প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে নির্ধারিত সময়ের আগেই এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এমডিজি অর্জন করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে সক্ষম হব।
ডেপুটি স্পিকার আজ সংসদ ভবনে শপথ কক্ষে আয়োজিত ২০৩০ সাল পর্যন্ত নেয়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সংসদ সদস্যগণের সমন্বয়ে অবহিতকরণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
এসডিজি অর্জনে সংসদ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্র রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা নিজ নিজ নির্বচনী এলাকায় মানুষের মধ্যে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনার বিষয়ে জনগনকে অবহিতকরণ এবং সরকারকে সহযোগিতা করার বিষয়ে তাদের করনীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিতে পারেন। দেশের সকল শ্রেণীর সকল পেশার মানুষকে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে পারলে এসডিজি অর্জন সহজ হবে বলে মন্তব্য করেন ডেপুটি স্পিকার।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবদুর রব হাওলাদার এর সভাপতিত্বে এবং হুইপ মোঃ শহীদুজ্জামান সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড.শামসুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মোঃ আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সার্বজনীন উন্নয়নের নিরীখে যে বিশ্ব শান্তির ধারণায় রাষ্ট্রপরিচালনায় ব্রত হয়েছিলেন সেই চিন্তা চেতনারই প্রতিফলন এমডিজি এবং এসডিজি। মূলত: বিশ্ব আজ যে বিশ্বায়ন, এমডিজি বা এসডিজির ধারণার উন্মেষ ঘটিয়েছে তা বঙ্গবন্ধু অনেক অগেই তাঁর উন্নয়ন মহাপরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অসমাপ্ত কাজগুলো একর পর এক বাস্তবায়ন করে বিশ্বকে অবাক করে দিচ্ছেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদ সংবিধান অনুযায়ী আইনসভা, প্রতিনিধিসভা এবং তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা হিসেবে নিজের ভূমিকা কার্যকারীভাবে পালন করতে পারে।
কর্মশালায় তিনি সকল বয়সী সকল মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ, জেন্ডার সমতা অর্জন এবং নারীর ক্ষমতায়ন, টেকসই উন্নযনের জন্য শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থার প্রচলন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের মূল ধারায় অন্তর্ভুক্তিকরণ, শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।