1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন

ভারতে প্রকৌশল বিদ্যায় স্নাতকদের ৬০ ভাগই বেকার

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৭
  • ৫৬ Time View

সমগ্র ভারতের বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর প্রকৌশল বিদ্যায় স্নাতক সম্পন্ন করা আট লাখ শিক্ষার্থীর অন্তত ৬০ ভাগই বেকার থাকছে। ‘অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিকেল এডুকেশন’ (এআইসিটিই) এ তথ্য জানিয়েছে।

এসব শিক্ষার্থীদের মাত্র এক ভাগেরও কম গ্রীষ্মকালীন ইন্টার্নশিপ করছেন এবং ন্যাশনাল বোরর্ড অব অ্যাকরিডেশনের (এনবিএ) মাধ্যমে দেশের ৩২০০ প্রতিষ্ঠানের মাত্র ১৫ ভাগ প্রকৌশল কোর্সে সুযোগ পাচ্ছেন।

সারাদেশে কারিগরি শিক্ষার মানের এ তারতম্যের কারণে স্নাতক শেষ করলেও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী চাকরির যোগ্য হয়ে উঠছেন না। ফলে এ অবস্থা বদলাতে ভারতের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় (এমএইচআরডি) ভারতের কারিগরি শিক্ষা ঢেলে সাজাতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

এর অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একক জাতীয় ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে দেশটি। এছাড়া কারিগরি প্রতিষ্ঠানদের শিক্ষকদের বাৎসরিক প্রশিক্ষণ ও নির্ধারিত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক এবং নির্ধারিত সময়েই পাঠ্যসূচি শেষ করানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এমএইচআরডির এক সিনিয়র কর্মকর্তার মতে, প্রকৌশলের ভর্তি পরীক্ষা ‘এনইইটিআই’ এরপর থেকে ‘ন্যাশনাল টেস্টিং সার্ভিস’ (এনটিএস) কর্তৃক পরিচালিত হবে, যা হবে সম্পূর্ণ কম্পিউটারনির্ভর। ২০১৮ সালের শুরুতে এই দায়িত্বের সঙ্গে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাও ‘এনইইটি’ সম্পাদন করবে এনটিএস। এসব পরীক্ষা বছরে একাধিবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সূত্র। এছাড়া এনটিএস দেশের আইআইটির ভর্তি পরীক্ষাও পরিচালনা করবে।

এ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকৌশলের প্রথম পরীক্ষা ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বা ২০১৮ এর জানুয়ারিতে, দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা মার্চে এবং শেষ ধাপের পরীক্ষা মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে।

এআইসিটিই দেশটির কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, এতে করে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের হার ৪০ থেকে ৬০ ভাগে উন্নীত করা সম্ভব হবে। এছাড়া ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থীর ইন্টার্নশিপেরও ব্যবস্থা হবে।

এদিকে, এআইসিটিইর লক্ষ্য ২০২২ সালের মধ্যে এনবিএর মাধ্যমে কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ৫০ ভাগ কোর্স প্রোগ্রাম চালু করা। আরও রয়েছে, এমএইচআরডি স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা এবং অন্য সব প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করা।

কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি বছর পাঠ্যসিচিতে উপযুক্ত পরিবর্তন আনতে হবে এবং পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই ডিসেম্বরে তা শেষ করতে হবে।

এরইমধ্যে এআইসিটিই দেশের সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত উদ্যোগ বাস্তবায়নে কর্মপরিবল্পনা প্রণয়ন ও যথাযথ অর্থায়নের মাধ্যমে ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জনের কথা জানিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ