1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বেগম খালেদা জিয়া আর নেই ঋণখেলাপির তালিকা থেকে মান্নার নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ, বাধা নেই নির্বাচনে অপরাধীরা যাতে সীমান্ত দিয়ে পালাতে না পারে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আসন পরির্বতনসহ দলীয় প্রার্থীও বদল করেছে বিএনপি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই : তাসনিম জারা ইউক্রেন যুদ্ধ থামবে কি না, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বোঝা যাবে: ট্রাম্প মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ২৭৮০ জন, জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ নাহিদ ইসলামরা এভাবে প্রতারণা না করলেও পারতেন : আব্দুল কাদের এনসিপির সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম মাকে বেঁধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

নানার খুনিকে ফিরিয়ে দিতে হবে : যুক্তরাষ্ট্রকে জয়

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৬
  • ৭৮ Time View

5জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি দণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

‘আমার নানার খুনিদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত দিতে হবে’ -শিরোনামে নিউইয়র্ক টাইমসে লেখা এক নিবন্ধে জয় এই আহ্বান জানান।

তিনি তার নিবন্ধে উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। সৈন্যরা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে হামলা চালিয়ে পরিবারের অপর ১৮ জন সদস্যের সঙ্গে আমার নানাকেও গুলি করে হত্যা করে। তাদের মধ্যে আমার নানী, তিন মামা এবং আমার গর্ভবতী মামীও ছিলেন। আমার মা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানিতে তার বোনের সঙ্গে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

সোমবার প্রকাশিত ওই নিবন্ধে তিনি লেখেন, ‘আমাদের জানা মতে, রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীর মর্যাদা পায়নি। অতএব সে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ামুক্ত নয়। তাকে প্রত্যর্পণের বিলম্ব করার আর কোনো যুক্তি নেই। এ বিষয়টি নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রের সাড়া দেয়া উচিত, যাতে বিচার সম্পন্ন করা যায়।’

আমার পরিবারের ঘাতকদের একজন রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের লিবার্টিতে বসবাস করছে। ঢাকার আদালতে এই হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় তার বিচার হয়েছে।

তিনি আরো লেখেন, রাশেদ চৌধুরী ১৯৯৬ সালের পর থেকে পলাতক থাকায় তার অপরাধের শাস্তি পায়নি। বাংলাদেশ ২০০০ সালের পর থেকে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে আসছে এবং প্রায় দেড় দশকের অধিক সময় অপেক্ষা করছে। তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে দেশে পাঠাতে হবে।

জয় স্মৃতিচারণ করে লেখেন, ‘আমার নানা যখন খুন হন, তখন আমার বয়স ছিল চার বছর। তার মৃত্যুতে আমার ও আমার পরিবারের জন্য ব্যক্তিগত ক্ষতির চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। আমাদের সমগ্র জাতি শোকাহত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জাতির পিতা এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি বঙ্গবন্ধু হিসেবে অধিক পরিচিত। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। এটি আমার জন্মের বছর।

তিনি আরো লেখেন, ‘আমার নানাকে হত্যা করার পর দেশে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও সামরিক শাসন চলে। সামরিক জান্তা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে ঘাতকদেরকে রক্ষা করে। এই হত্যাকাণ্ডে প্রধান সুবিধাভোগীদের একজন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি শুধু এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে বাধা সৃষ্টি করেননি, তাদের নিরাপত্তাও দিয়েছেন। তাদের সরকারে এবং কূটনৈতিক মিশনে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন।’

যখন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও আমার মা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আরোহণ করে প্রধানমন্ত্রী হন শুধু তখনই হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়। দ্রুত রায় বাস্তবায়নের জন্য জনগণের পক্ষ থেকে চাপ ছিল, কিন্তু আমার মা জানতেন শুধু রায় বাস্তবায়ন করলেই চলবে না। সবার চোখে ন্যায্যভাবে তা প্রদর্শিত হতে হবে। রায় বাস্তবায়নে আইনের শাসন মেনে সকল প্রকার স্বচ্ছতা অনুসরণ করা হয়। সাংবিধানিক সকল সুরক্ষার সুযোগ দিয়ে হত্যাকারীদের বেসামরিক আদালতে বিচার করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ