সময়ের কণ্ঠস্বর- দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের বরাদ্ধকৃত তরঙ্গ খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে কোম্পানিটিকে আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি টাকাও পরিশোধ করতে বলেছে আদালত। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। বিটিআরসি’র পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সিটিসেলের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আপিল বিভাগের আগের রায়ে বলা হয়েছিল, দাবিকৃত টাকার যে অংশ আমরা স্বীকার করি, তার দুই তৃতীয়াংশ সিটিসেলকে জমা দিতে হবে। আমরা সেই আদেশ মোতাবেক দুই-তৃতীয়াংশ টাকা দেই।এ টাকা দেওয়ার পরও তরঙ্গ স্থগিত ও কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হয়নি এই অভিযোগে গত ২১ অক্টোবর সিটিসেলের কার্যক্রম (তরঙ্গ) বন্ধ করে দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। সংস্থাটির ওই সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে ২৪ অক্টোবর আবেদন করে সিটিসেল কর্তৃপক্ষ। এরপর সিটিসেলের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আজ রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।
বিটিআরসি’র দাবি, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যদিও এই পাওনা নিয়ে পরস্পর বিরোধী দাবি রয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে আপিল বিভাগ ছয় সপ্তাহের মধ্যে পাওনা টাকার তিন ভাগের দুই ভাগ এবং বাকি টাকা দুই মাসের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল।
সিটিসেল বকেয়া টাকার মধ্যে ১৩০ কোটি বিটিআরসিকে এবং ১৪ কোটি টাকা এনবিআরের খাতে জমা করে বলে দাবি করে। কিন্তু, বিটিআরসি’র দাবি, প্রথম কিস্তির টাকার অংক ৩১৮ কোটি টাকা।
এরই মধ্যে গত ২০ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, বিটিআরসির পাওনা না দেয়ায় সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়েছে।