স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে নয়াদিল্লি যাওয়া স্বরাষ্ট্র সচিব মনজুর হোসেন শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
শনিবার নয়াদিল্লিতে সচিব পর্যায় এবং যৌথ সীমান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের পৃথক বৈঠক শুরু হচ্ছে।
নয়াদিল্লি থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
সফররত স্বরাষ্ট্র সচিব মনজুর হোসেন শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্রসচিব রঞ্জন মাথাইয়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে পৃথক সাক্ষাতে দুইদেশের অভিন্ন বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা হয় বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
চিদাম্বরমের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়। এদিকে মাথাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালীন হওয়া চুক্তি ও সমঝোতার অগ্রগতি নিয়ে আলোচন হয় বলে সূত্রের খবর।
শনিবার দু’দিনের স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন স্বরাষ্ট্রসচিব মনজুর হোসেন এবং যৌথ সীমান্ত কার্যদলের বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক) ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
এ দু’জন ছাড়া প্রতিনিধিদলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একজন প্রতিনিধি, যৌথ নদী কমিশনের একজন প্রতিনিধি এবং নয়াদিল্লি হাইকমিশনের প্রতিনিধি।
শনিবার শুরু হতে যাওয়া বৈঠকে আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে যৌথ সীমান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পর্যালোচনা, সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ, দু’দেশের বন্দী পরিস্থিতি, ভিসা সমস্যা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সামর্থ্য বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে আলোচনা প্রভৃতি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৈঠকের এজেন্ডায় আরও থাকছে ভারতের কারাগারে বিনা বিচারে বা সাজার মেয়াদ শেষ করেও বন্দী থাকা বাংলাদেশিদের মুক্তির বিষয়টি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি তালিকা দিয়ে তাদের মুক্তির আহ্বান জানাবে। একই সঙ্গে ভারতের প থেকেও বাংলাদেশে বিভিন্ন কারাগারে সাজা শেষ হওয়ার পরও বন্দী থাকাদের তালিকা দেওয়া হবে।
ভারতে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের ফেরত চাওয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত ভারতে পলাতক দুই খুনিকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ।
ফেনসিডিল চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করতে পদপে গ্রহণ করতে ঢাকা অনুরোধ জানাবে।
দু’দেশের জয়েন্ট বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রুপেরও বৈঠকের এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন, ল্যান্ড বাউন্ডারি প্রটোকল বাস্তবায়ন, তিন বিঘা করিডোর, জঙ্গিবাদ মোকাবেলা, ক্রস বর্ডার সন্ত্রাসী তৎপরতাসহ দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা।