1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন

‘ক্ষমা না চাওয়ার ব্যাপারে পারিবারের দাবি ভিত্তিহীন’

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫
  • ১৬৪ Time View

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ক্ষমা না চাওয়ার ব্যাপারে পারিবারের দাবি 1ভিত্তিহীন। প্রথমে মুজাহিদ ও পরে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন। শাস্তি মওকুফে সব চেষ্টাই করছিলেন তারা। তবে শাস্তি মওকুফ করার জন্য কিংবা একটা কৌশল বের করার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা তারা করেছেন। আজ রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রাণ বাঁচাতে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে ক্ষমার আবেদন করেছিলেন। তবে এ দুইটি পরিবার বিষয়টি অস্বীকার করলেও ‘কৌশল’ বের করার কম চেষ্টা তারা করেনি। তিনি বলেন, সাকা চৌধুরীর ছেলে কোনো জায়গায় ছোটোছুটি করতে তো কম যায় নাই। বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করেছে। তার পার্টি চিফের বাসায় গিয়েছে সব জায়গায় গিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এ রায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, প্রশান্তি পেয়েছে, দায়মুক্ত হয়েছে। সংবিধানের ৪৯ ধারায় রয়েছে, কোনো কর্মকাণ্ডের পরে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারে। ধরেই নিয়েছিলাম, তারা ক্ষমা চাইবে না। কিন্তু সকালে মুজাহিদ প্রথমেই ৪৯ ধারা অনুসারে ক্ষমা চান। এরপর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ইংরেজিতে লেখা চিঠিতে ৪৯ উল্লেখ করে ক্ষমা চান। তিনি বলেন, তাদের আবেদন আমরা রাষ্ট্রপতিকে পৌঁছে দিয়েছি। ক্ষমা না চাইলে আমরা এসব করবো কেন? পরিবার হয়ত এ বিষয়টি জানাতো না। কারণ ক্ষমা আমাদের মাধ্যমে চেয়েছেন দণ্ডিতরা।
হরতাল নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আগেও হরতাল দিয়েছে এবারও হরতালের ডাক দিয়েছে কিন্তু তাদের হরতালে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি। দেবেও না। তিনি বলেন, জাতির প্রত্যাশা ও দাবি ছিল এ বিচার। যারা সরাসরি যুদ্ধ করেছিলাম, তাদের এটি প্রাণের দাবি ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছিল প্রতিশ্রুতি, ওয়াদা। তিনি বলেন, রায়ের ব্যাপারে কোনো চাপে প্রধানমন্ত্রী বিচলিত হন না। শুধু রাষ্ট্রীয় নয়, ছোটখাট অনেক জায়গা থেকেই অনুরোধ আসে, প্রধানমন্ত্রী তাতে বিচলিত হন না কখনোই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তায় কাজ করছে। জনসাধারণের বেশির ভাগ এখানে আনন্দ করছে রায়ের বাস্তবায়নে।
প্রসঙ্গত একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং সাম্প্রদায়িক হত্যা-নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তিনি আপিল করলে চলতি বছরের ১৬ জুন চূড়ান্ত রায়েও ওই সাজা বহাল থাকে। একাত্তরে চট্টগ্রামের ত্রাস সালাউদ্দিন কাদেরের রায় এসেছিল ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর। ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির রায় এ বছর ২৯ জুলাই আপিলের রায়েও বহাল থাকে। তাদের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় একই দিনে, ৩০ সেপ্টেম্বর। এরপর নিয়ম অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল দুজনের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে এবং কারা কর্তৃপক্ষ ১ অক্টোবর তা দুই ফাঁসির আসামিকে পড়ে শোনায়। এরপর দুই যুদ্ধাপরাধী ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বুধবার আদালত তা খারিজ করে দেয়। আইনি লড়াইয়ের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি শেষে রিভিউ খারিজের রায় বৃহস্পতিবার কারাগারে পৌঁছে যাওয়ার পর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় এই দুই নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ