1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৫ অপরাহ্ন

আটকেপড়া শরণার্থীদের ঢুকতে দিচ্ছে স্লোভেনিয়া

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫
  • ৯৪ Time View

স্লোভেনিয়ার সরকার বলছে ক্রোয়েশিয়ার সাথে সীমান্তে আটকেপড়া শরণার্থীদের 3বেশিরভাগকেই সে দেশে ঢুকতে দেয়া হয়েছে। ক্রোয়েশিয়াও তার সীমান্ত খুলে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নিচে প্রায় ৫ হাজারের মতো শরণার্থী সীমান্তে আটকে পড়েছিলেন। বিশেষ করে স্লোভেনিয়ার সীমান্তে এই শরণার্থী আটকে পড়েন। ঠাণ্ডার কারণে শরণার্থীদের দুর্ভোগের এক করুণ দৃশ্য তৈরি হয়। সে পটভূমিতে সীমান্তে কড়াকড়ি শিথিল করল স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়া। তবে এখনো সীমান্তে রয়েছে নিরুপায় বহু শরণার্থী। সিরিয়া থেকে আসা এক নারী বলছিলেন, তিনি খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন। তাদের সাথে পশুর মতো ব্যবহার করা হচ্ছে।
এমন হাজার হাজার শরণার্থীর বেশির ভাগই আসছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে। আফ্রিকার কয়েকটি দেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা মানুষজনও রয়েছে। যারা মূলত তুরস্ক হয়ে তারপর বলকান দেশগুলো পার হয়ে জার্মানি ও সুইডেন যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যেই ক্রোয়েশিয়া দুই ট্রেন ভর্তি শরণার্থীদের স্লোভেনিয়ার সীমান্তে পাঠিয়ে দেয়।
সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করে স্লোভেনিয়া। হাঙ্গেরি দক্ষিণের সীমানা বন্ধ করে দেয়। কে কত শরণার্থী নেবে সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হচ্ছে বলে বলকান দেশগুলো একে অপরকে দোষারোপ করছে। স্লোভেনিয়ার সরকার এক্ষেত্রে মূলত ক্রোয়েশিয়াকে দোষারোপ করছে।
স্লোভেনিয়ার সরকারি দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির একজন নেতা তানিয়া ফেয়ন বলেছেন শরণার্থীদের প্রবেশে সমন্বয় আনতে আলাপ চলছে।
ফেয়ন বলেছেন, যত মানুষ সীমান্তে আসছেন তাদের সবাইকে সামাল দেয়া স্লোভেনিয়ার পক্ষে সম্ভব নয়। ক্রোয়েশিয়া বলছে তাদের অবস্থা আরও খারাপ। ওদিকে ইওরোপে ঘনিয়ে আসছে ঠাণ্ডার মৌসুম।
সীমান্তে কড়াকড়ি অব্যাহত থাকলে শরণার্থীদের দুরবস্থা চরমে পৌঁছাতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
সংস্থাটির একজন মুখপাত্র ইরোদা আস্কারোভা বলছেন শরণার্থীদের তারা সাহায্য করছেন তবে সীমান্তে কড়াকড়ি থাকলে তা যথেষ্ট হবে না।
ইরোদা আস্কারোভা বলছেন, সীমান্তে আসা শরণার্থীদের সংখ্যা কত তার হিসেব নেবার চেষ্টা চলছে। তাদের কম্বল, খাবার ও পানি দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। বহু শরণার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
তিনি বলেন, সবমিলিয়ে এক মানবিক বিপর্যয় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতেই এ বছর ৬ লাখের মতো শরণার্থী ইওরোপ প্রবেশ করেছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ