1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন

লাইফ ইজ বিউটিফুল

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৫
  • ১৬৭ Time View

আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার ৭ তলায় স্টুডিও 8থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চায়ন হবে মাইম আর্টের প্রযোজনায় নিথর মাহবুবের একক মূকাভিনয় ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’। শিল্পী নিজেই এটি রচনা করে নির্দেশনা দিয়েছেন। সোয়া ১ ঘণ্টার এই নির্বাক উপস্থাপনায় উঠে এসেছে দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপট তরুণ সমাজের সমস্যা, মানুষের শৈশব-কৈশরের স্মৃতিকাতরতা, বেকারত্ব থেকে মুক্তির উপায়, মানসিক শক্তির বলে পতন থেকে সাফল্যের পথে উঠে আসার উপায়সহ সামাজিক ও ব্যক্তিমানসের নানা অসংগতি; যার মূল বক্ত্যব্য- কোনো পেশাই মানুষের সম্মান কমায় না, বড়ং দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।
যে পেশা দিয়েই কর্মজীবন শুর করা হোক না কেন; লক্ষে পৌছার পর ছোট-খাট পেশার কাজগুলো হয় জীবনের অলংকার। আর জীবনে দুঃখ-কষ্ট যাই আসুক তাই বলে হতাশাগ্রস্থ হয়ে জীবন ধ্বংশ করাটা বোঁকামি। কারন বেচেথাকাটাই পরম আনন্দের। সর্বোপরি সব বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে লক্ষ্যভেদী ও স্বপ্নবিলাসী এক যুবকের বেঁচে থাকার অদম্য ই”ছাশক্তিকে নিয়ে জীবনমুখী পথ চলাই ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’।
‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ সম্পর্কে নিথর মাহবুব এর বক্তব্য . এই প্রযোজনাটি একদিকে যেমন তরুণ প্রজন্মের জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা অন্য দিকে পেশার সম্মান বৃদ্ধি করার লক্ষে আমার এক আন্দোলন। দেশকে ভালবাসলে দেশের উন্নতি চাইলে প্রতিটি পেশার মানুষকে সম্মান দিতে হবে। ছোট-খাট পেশার সাথে যুক্ত মানুষগুলোকে আমাদের সমাজে অমর্যাদা দৃষ্টিতে দেখা হয় বলেই। লেখা-পড়া শিখে ছেলেমেয়েরা বেকার বসে থাকে। পেশার সম্মান বৃদ্ধি পেলে এই দেশে কোনো বেকার থাকবে না, হতাশাগ্রস্থ হয়ে তরুণসমাজ বিপথগামী হবে না।
মূল গল্প : লেখা-পড়া শেষ করে এক যুবক চাকরির সন্ধান করতে থাকে। ঘরে তার অসুস্থ মা। হাটে-বাজারে খেলা দেখিয়ে কোনোরকম চলে সংসার। উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে তার মা মারা যায় অপর দিকে প্রেমিকাকেও হারাতে হয় দারিদ্রতার কারণে। ছুটে আসে শহরে নতুন করে জীবন শুরু করতে। কিন্তু অনেক চেষ্টায়ও যখন চাকরি মিলে না। তখন হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহত্মা করবে। ফঁসির দড়ি গলায় পরতে গিয়ে তার মনে পড়ে যায় শৈশব কৈশরের কিছু স্মৃতি। জীবনের প্রতি মায়া ধরেযায় তরুণের। মানসিক শক্তির বলে ফিরে আসে ফাঁসির মঞ্চ থেকে। নিজের অর্জন করা সমস্ত সার্টিফিকেটগুলো ছিড়ে কুচিকুচি করে আগুণে পুড়িয়ে পুণরায় শুরুকরে জীবন যুদ্ধ। ইট ভাঙ্গা দিয়ে শুরু করে, হকারি, ঠেঁলা গাড়ি, কন্টাক্টারি এভাবে ক্রমশ পেশার উন্নতি ঘটিয়ে একসময় জীবনে সাফল্য আসে তার। সাফল্যের দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে যুবক উপলব্ধি করে, জীবনে দুঃখ-কষ্ট, হতাশা, আনন্দ যাই আসুক; বেঁচে থাকার প্রতিটি মুহূর্তই আনন্দের এবং জীবন সুন্দর।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ