প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে বাংলাদেশের ভূমিকা যথেষ্ট ছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আজ রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিদ্যুত ও জ্বালানি সমস্যার সমাধান এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলা ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারের দিক দিয়ে সফলতা অর্জন করেছি। জাতিসংঘের অধিবেশনে এসব ভূমিকার ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে বাংলাদেশ। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি)-এর ধারাবাহিকতায় এবারের অধিবেশনে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) গৃহীত হয়েছে। ১৭টি উন্নয়নের লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট করে ১৬৯টি আশু লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এ কাজে বাংলাদেশের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
২০০০ সালে ১৫ বছরের জন্য গৃহীত হয় এমডিজি। এ বছর এর মেয়াদ শেষ হওয়ায় পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য এসডিজি গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ। এবার দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নিরসন, পুষ্টি বিদ্যুত সেবা নিশ্চিতকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলা করা, সাগর ও মহাসাগরের সম্পদগুলো জনগণের কাজে লাগানো, বায়োডাইভার্সিটি, ফরেস্ট, ইকোসিস্টেম, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট, শিল্পায়ন, ট্রান্স বাউন্ডারি ম্যানেজমেন্ট, মাইগ্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টসহ অনেক বিভিন্ন বিষয়ে আশু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এমডিজির মতো এসডিজি অর্জনেও বাংলাদেশ সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে যেভাবে এগিয়ে গেছি, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনেও এগিয়ে যাবো। বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে দ্রুত এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। লন্ডন হয়ে গতকাল শনিবার দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।