গত রবিবারই নানগরহার প্রদেশের একাধিক পুলিশ চৌকিতে হামলা চালিয়েছে আইএস জঙ্গিরা।
তারও আগে পাকতিকা প্রদেশে ভলিবল ম্যাচ চলাকালীন বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। সন্দেহের তির হক্কানি গোষ্ঠীর দিকে। আর রবিবার মধ্য রাতে আফগান শহর কুন্দুজে হামলা চালিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ল কয়েকশো তালিবান জঙ্গি।
পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছরে এই নিয়ে ৩য় বার আফগানিস্থানের উত্তর-পূর্বের এই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহরটিকে নিশানা করে তালিবান। অবশেষে গত রবিবার মধ্য রাতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ গুলির লড়াইয়ের পর কুন্দুজের সিংহভাগ দখল করে নেয় জঙ্গি সংগঠনটি। কুন্দুজ পুলিশের মুখপাত্র বলেছেন, ‘শহরটি চারদিক থেকে ঘিরে আক্রমণ করে তালেবান। রবিবার রাত আড়াইটে নাগাদ নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় জঙ্গিদের।’ সোমবার রাত পর্যন্তও থামেনি দু’পক্ষের সংঘর্ষ। শহরে ঢোকার প্রধান প্রধান রাস্তাতেও নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে লড়াই চলে জঙ্গিদের। প্রাণভয়ে ঘরের ভিতর লুকিয়ে পড়েন বাসিন্দারা। এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ‘পরিস্থিতি খুব খারাপ। বিশেষত শহরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের লড়াই উত্তরোত্তর বাড়ছে।’
হামলার দায় স্বীকার করেছে তালিবান মুখপাত্র জাবিনুল্লা মুজাহিদ। তার দাবি, শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ চৌকিতে ঢুকে ১২ জন আফগান পুলিশকে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। থানা এবং গভর্নরের সদর দফতরেও ঢুকতে শুরু করেছে তারা। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনী অভিযান শুরু করার পর কুন্দুজ ছাড়তে বাধ্য হয় তালিবান জঙ্গিরা। যদিও বেশ কিছু দিন ধরেই শহরটি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান।