মালির টিমবাকটুর অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিকে বিচারের জন্য
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
ইসলামী জঙ্গী আহমদ আল মাহদি আল ফাকি জঙ্গী গোষ্ঠী আনসার দীনের সদস্য। ২০১২ সালে এই গোষ্ঠী যখন টিমাবাকটু দখল করে নেয় তখন তারা সেখানকার অনেক ঐতিহাসিক ভবন ধ্বংস করে। সাংস্কৃতিক নিদর্শন ধ্বংসের ঘটনাকে এই প্রথম ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে গণ্য করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার বিচার হচ্ছে। আহমদ আল মাহদি আল ফাকি হবেন প্রথম ব্যক্তি যাকে এ রকম অপরাধে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌশুলি ফাটু বেনসাউডা বলেন, মালির ঐতিহাসিক নিদর্শনের ওপর এই হামলা ছিল সেখানকার জনগণের মর্যাদা ও পরিচয়ের ওপর এক ঘৃণ্য আক্রমণ।
ইসলামী জঙ্গীরা টিমবাকটুর অনেক ঐতিহাসিক মসজিদ এবং সমাধি সৌধ ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় এবং অনেক ঐতিহাসিক পান্ডুলিপি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে।
চতুর্দশ শতক থেকে আঠারো শতক পর্যন্ত টিমবাকটু ছিল ইসলামী শিক্ষার এক বড় কেন্দ্র। এক সময় এখানে দুশোর বেশি স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এবং মুসলিম বিশ্ব থেকে অনেকেই এখানে পড়াশোনা করতে আসতেন।
টিমবাকটুর প্রতিষ্ঠাতা অনেক মুসলিম সাধকের সমাধি সৌধ ইসলামী জঙ্গীরা গুঁড়িয়ে দেয়। এই সাধকদের খুবই শ্রদ্ধার চোখে দেখে স্থানীয়রা। কিন্তু ইসলামী জঙ্গীরা এসব সমাধি সৌধকে ‘পৌত্তলিকতা’ বলে গণ্য করে। সূত্র : বিবিসি বাংলা