প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্প ও বাণিজ্যের উন্নয়নে সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা নিজেরা ব্যবসা করি না, বরং অধিকতর অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমরা ব্যবসাকে উৎসাহিত করি। এ সময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের বিকাশমান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজার ধরে রাখার কথাও বলেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে ফেড়ারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এফবিসিসিআই) নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের এক প্রতিনিধি দল তার সাথে সাক্ষাকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমদের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধি দলে সংগঠনটির অন্যান্য পরিচালক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ঘরে ও বাইরের সম্ভাবনাময় বাজারে প্রবেশ করতে সরকারের দেয়া অনেক সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাতে তার উৎকর্ষের স্বাক্ষর রেখেছে। বিশাল সমুদ্র এলাকায় এখন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বিশেষ করে গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বিপুল সামুদ্রিক সম্পদের সদ্ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় সাথে ব্যবসায়ীদের এখন রফতানি বৃদ্ধি ছাড়াও সম্প্রসারিত অভ্যন্তরীণ বাজারের সুবিধা কাজে লাগাতে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে ব্যবসার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই ব্যবসাবান্ধব সরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার দক্ষ নেতৃত্বে কঠোর সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছেন। এজন্য বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীদের চেষ্টা করতে হবে। শিল্পায়ন ও বাণিজ্য বিকাশে নির্দিষ্টমাত্রায় ব্যাংকের সুদের হার কমাতে তার সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে আনার চেষ্টা করছে।