1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ন

সিরাজ-আকরামের বিরুদ্ধে রায় পড়া চলছে

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০১৫
  • ১৫৩ Time View

১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি বাগেরহাটের সিরাজ মাস্টার ও খান আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে রায় পাঠ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে রায় পাঠ শুরু করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ১৩৩ পৃষ্ঠার এ রায়ের প্রথমাংশ পাঠ শুরু করছেন বিচারপতি আনোয়ারুলy7ii হক।
১৩৩ পৃষ্ঠার রায়ের সার সংক্ষেপের শুরুতে প্রারম্ভিক বক্তব্য দেন ট্রাইব্যুনালের সদ্য বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হক। এ আদালতের অপর সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনও রায়ের একটি অংশ পড়বেন। সবশেষে চূড়ান্ত আদেশ দেবেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশি প্রহরায় সিরাজ মাস্টার ও খান আকরাম হোসেনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এরপর তাদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। পরে রায় পাঠের আগে তাদের ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় নেয়া হয়।
২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরুর পর এটি একবিংশতম রায়। সিরাজুল হক ও খান আকরাম হোসেনের সঙ্গে আব্দুল লতিফ তালুকদার (৭৫) নামে একাত্তরের আরেক রাজাকার সদস্যের বিচার চলে এ মামলায়। কিন্তু রায়ের আগেই গত ২৭ জুলাই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় তার মৃত্যু হওয়ায়গত ৫ অগাস্ট আদালত মামলা থেকে তার নাম বাদ দেয়।
গত বছর ৫ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই তিন আসামির যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। সাত অভিযোগের মধ্যে ছয়টিতে সিরাজুল হক ওরফে সিরাজ মাস্টারকে আসামি করা হয়। একটি অভিযোগে আসামি কেবল আকরাম ও লতিফ। আর দুটি অভিযোগে তিনজনকেই একসঙ্গে আসামি করা হয়।
২ ডিসেম্বর প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর পর চলতি বছর ২৪ মার্চ পর্যন্ত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনসহ মোট ৩২ জন সাক্ষ্য দেন। এরপর গত ৬, ৭ ও ২১ এপ্রিল আসামিদের পক্ষে পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন। এরা হলেন- মো. আমজাদ শেখ, সরদার আব্দুল মান্নান, আব্দুর রশিদ মল্লিক, ইউসুফ আলী দিহিদার ও মো. ফেরদৌস খান। এরপর ১৫ জুন প্রসিকিউটর সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। আসামি লতিফ তালুকদার অসুস্থ হয়ে পড়লে যুক্তিতর্ক স্থগিত করে আদালত। পরে ১৭ জুন সুমন যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।
আসামি আব্দুল লতিফ তালুকদার ও আকরাম হোসেন খানের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন যুক্তি উপস্থাপন করেন ১৮ জুন। ২১ জুন যুক্তি উপস্থাপন করেন সিরাজ মাস্টারের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসান। এই আসামি আর্থিক অসঙ্গতির কথা বলায় আদালত তার মামলা লড়তে আইনজীবী নিয়োগ দেয়। দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ায় মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাগেরহাটের কচুয়ার শাঁখারীকাঠি বাজারে ৪২ জনকে গণহত্যা, ধর্ষণ ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ ছয়টি অভিযোগে ২০০৯ সালে সিরাজ মাস্টারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ওই গণহত্যায় নিহত রঘুদত্তকাঠি গ্রামের শহীদ জিতেন্দ্র নাথ দাসের ছেলে নিমাই চন্দ্র দাস কচুয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি পরে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল গত ১০ জুন এই তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে কচুয়া থানা পুলিশ পরদিন লতিফ তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ১৯ জুন আকরাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজশাহী থেকে। ২০ জুলাই গ্রেপ্তার হন সিরাজ মাস্টার।
প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থা বলছে, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আসামিরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করতে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়।
খুলনার আনসার ক্যাম্পে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে তারা অন্যান্য রাজাকার সদস্যদের সঙ্গে বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ চালায় বলে তদন্ত সংস্থার অভিযোগ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ