1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন

৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫
  • ১৮৬ Time View

seaনিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় ও ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও কক্সবাজারে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া মংলা ও পায়রা বন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৯ জুলাই) রাত পৌনে ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তা।

এরআগে রাত সাড়ে ১১টায় কক্সবাজারে ৭ নম্বর সংকেত জারি করা হয়।

কক্সবাজার  আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৫ থেকে ৮ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানতে পারে কক্সবাজারে।

এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, জলোচ্ছ্বাসে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে।

এছাড়াও জেলার সব স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, কক্সবাজার ও বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মৌসুমী নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি বর্তমানে কক্সবাজার ও বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণে অবস্থান করছে।

কক্সবাজার  আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান,  নিম্নচাপটি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে। এটি ১০/১২ কিলোমিটার বেগে কক্সবাজারের দিকে আসছে। নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।

তিনি জানান, এ জন্য ৭ নং সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে এবং সমুদ্র থেকে সব ধরনের ফিশিং ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নিম্নাঞ্চলের মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

এজন্য সন্ধ্যার পরে জরুরি সভা করে জেলা প্রশাসন। সভা শেষে কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক অনুপম সাহা বাংলানিউজকে জানান, মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে মাইকিং করা হচ্ছে বুধবার রাত থেকেই। প্রতিটি ইউনিয়নে গঠন করা হয়েছে উদ্ধারকারী দল। পাশাপাশি জেলার সব আশ্রয় কেন্দ্র গত রাত থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রেডক্রিসেন্ট ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ