1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২২ পূর্বাহ্ন

‘ঘুমের ঔষধ খাইয়ে তারা একের পর এক অত্যাচার করে’

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০১৫
  • ৬৭ Time View

probashi b“১৮ দিন ছিলাম ওমানে। বাসায় কাজের কথা বলে আমাকে ছেলেদের একটি মেসে দেয়া হয়। ২২ জন ছেলেমানুষ। এমন কোন অত্যাচার নাই তারা করেনাই। ঘুমের ঔষধ খাইয়ে তারা একের পর এক অত্যাচার করে।” এভাবেই নিজের ওপর অত্যাচারের বিবরণ দিলেন যশোরের সাথী বেগম।

গত মাসে তিনি ওমানে গিয়েছিলেন বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমেই। কিন্তু সেখানে গিয়ে একমাসও টিকতে পারেননি। কোনো ভাবে জীবন বাঁচিয়ে ফিরে এসেছেন দেশে। মামলাও করেছেন দালালদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় মানবাধিকার সংগঠন ‘রাইটস যশোর’ আয়োজিত গণ-শুনানিতে অংশ নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন সাথী বেগম।

এই অনুষ্ঠানে নির্যাতিতদের অনেকই তাদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন। একই সাথে তারা এজেন্সিগুলোর সঙ্গে জড়িত দালালদের বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সচেতনতা কার্যক্রম জোরদারের পাশাপাশি শ্রমিকদের কাজের ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

ইরাক থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হওয়া আরেকজন অভিবাসী শ্রমিক লক্ষ্মীপুরের আব্দুর রাজ্জাক জানান, বৈধভাবে গেলেও দালালরা তাদের বিক্রি করে এজেন্সির কাছে।

দেশীয় এজেন্সি তাদের বিক্রি করে ইরাকের এজেন্সি বা কোম্পানির কাছে। ফলে এসব কোম্পানি তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে পারিশ্রমিক দেয়ার বদলে টাকা চাইলেই নির্যাতন করে থাকে।

রাজ্জাক বলেন,“আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। নাজাফ থেকে বাগদাদে। পরে পালিয়ে প্রাদেশিক সরকারের দ্বারস্থ হয়ে একটি পারমিট নিয়ে দেশে ফিরে এসেছি।”

গণশুনানিতে আসা এসব শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন একটি সংগঠনের কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক।

তিনি বলেন বিদেশে কাজের নামে যারা শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান এখন এসব শ্রমিকরা।

এদিকে এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শ্রমিকদের বিদেশে যাওয়ার আগে সচেতন করার পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই মানবাধিকার পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। তহালে সেখানে শ্রমিকদের কাজ ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কতটা সম্ভব ?

জানতে চেয়েছিলাম অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠনের কর্ণধার সৈয়দ সাইফুল হক।

তিনি বলেন, “ শ্রমিক যেখান থেকে যায় ও যেদেশে যায় দু’দেশকেই শ্রমিকদের কাজ ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সচেতনতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে কিন্তু সেটিকে আরও জোরদার করতে হবে”।

এদিকে সচেতনতার পাশাপাশি সরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগের কারণে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটতে শুরু করবে বলেই আশা করছেন কর্মকর্তারা।– বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ