ব্রিটেনে অন্য ধর্মাবলম্বী, নাস্তিক ও অজ্ঞেয়বাদীদের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে আগামী দুই দশকের মধ্যে দেশটি খ্রিস্টান প্রধান দেশ হিসেবে গণ্য হওয়ার যোগ্যতা হারাবে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় খ্রিস্টানদের মধ্য থেকে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ খ্রিস্ট ধর্মের প্রতি আস্থা হারিয়ে নাস্তিক অথবা অজ্ঞেয়বাদী হয়ে যাচ্ছে। এমনকি দেখা গেছে, কোনো কোনো বছর ধর্মত্যাগী বা ধর্মে আস্থা হারানোদের সংখ্যা বছরে সাত লাখ ৫০ হাজারও ছাড়িয়ে গেছে।
ব্রিটেনের জনগণের ওপর এই জারিপটি পরিচালনা করেছে হাউজ অব কমনস লাইব্রেরি। তারা দেখেছে, ব্রিটেনের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। কিন্তু বিপরীত পক্ষে অন্য ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায় দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে।
গত ছয় বছরে মুসলিমদের সংখ্যা ৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ৪৩ শতাংশ এবং বৌদ্ধদের সংখ্যা বেড়েছে ৭৪ শতাংশ। তবে শিখ ও ইহুদিদের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
অন্য ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা দিন বেড়ে যাওয়ার প্রভাব অনিবার্যভাবে ব্রিটেনের ভোটের রাজনীতিতেও পড়েছে। গত সপ্তাহে সংসদ সদস্যদের একটি গ্রুপ ‘ক্রিশ্চিয়ানস ইন পার্লামেন্ট’ অভিযোগ করে- ব্রিটেনের বর্তমান নীতি ‘অগ্রহণযোগ্য’ভাবে খ্রিস্টানদের প্রতি বৈষম্যমূলক হয়ে যাচ্ছে।
গত শুক্রবার গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সাবেক টোরি বিচারমন্ত্রী গ্যারি স্ট্রিটার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বিশ্বাসীরা ‘সেক্যুলার এবং বিদ্বেষী পক্ষের’ দ্বারা তাদের বিশ্বাসের কারণে কোণঠাঁসা হয়ে পড়ছে।
জরিপে দেখা যাচ্ছে, ২০১০ সালে ব্রিটেনে খ্রিস্টান ছিল চার কোটি ১১ লাখ। গত ছয় বছরে এই পরিমাণ ৭ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
ওই একই সময় ‘অবিশ্বাসী’ ছিল এক কোটি ৩৪ লাখ যা গত ছয় বছরে বেড়েছে ৪৯ শতাংশ বা তারও বেশি।