লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে লাইটার জাহাজ এমভি কর্ণফুলী-৫ এর নিখোঁজ চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রামগতি থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, সোমবার ভোরে জাহাজটির চালক নূর নেওয়াজের লাশ নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।
এমভি কর্ণফুলী-৫ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে সার নিয়ে বাঘাবাড়ী যাচ্ছিল। শনিবার ভোররাতে রামগতি উপজেলার বাতিরখাল মাছঘাটের অদূরে মেঘনা নদীতে আরেকটি মালবাহী জাহাজকে ধাক্কা দিলে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়।
এরপর কর্ণফুলীর তালাবন্ধ একটি কেবিন থেকে মো. পারভেজ, মাহবুব হোসেন ও জাহিদুল ইসলাম নামে তিন শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়। জাহাজে পাওয়া যায় রক্তমাখা লোহার রেঞ্জ।
এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রামে জাহাজ শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং কর্ণফুলী-৫ এ ডাকাতি হয়েছে দাবি করে নৌপথে চাঁদাবাজি ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা। এতে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস আটকে যাওয়ার পাশাপাশি নৌপথে পণ্য পরিবহনও বন্ধ হয়ে যায়।
তাদের অভিযোগ, লক্ষ্মীপুরে কমলগগর থানার বাতির শাইল এলাকায় পৌঁছালে জাহাজটি ডাকাতের কবলে পড়ে। এ সময় লাইটারেজে থাকা ১০ শ্রমিকের মধ্যে তিন জনকে কেবিনে আটকে রাখে ডাকাতরা। বাকি সাত শ্রমিক নিখোঁজ বলেও তারা দাবি করেন।
এদিকে জাহাজটির চার্টার মালিক আব্দুস সালাম জাহিদ রবিবার পাঁচ জনকে আসামি করে কমলনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে জাহাজের গ্রিজার পারভেজ, লস্কর টিটু, শামীম, বাবুর্চি (অজ্ঞাত) ও টিটুর এক অতিথিকে আসামি করা হয়।
কর্ণফুলীতে অপহরণ বা ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি দাবি করে কমলনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, সার পাচার করা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারিতে সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার লাশ উদ্ধারের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এমভি কর্ণফুলী-৫ এর চালক নূর নেওয়াজের লাশ মর্গে পাঠানো হচ্ছে। নিখোঁজ বাকিদেরও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।