1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৩ অপরাহ্ন

স্থলসীমান্ত চুক্তিতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও মিয়ানমার

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৪
  • ৯৬ Time View

সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির পর এবার স্থলসীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। মিয়ানমারও এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে অষ্টম পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক (এফওসি)রোববার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৈঠকে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকা পৌঁছান মিয়ানমারের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ থান্ট কিয়াওয়র। আজ তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন। এছাড়া বেলা দেড়টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে ইউ থান্ট কিয়াওয়ের বৈঠকের কথা রয়েছে।image_96416_0

ঢাকা সফরকালে মিয়ানমারের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বৈঠকে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৈঠকে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পূরক স্থলসীমান্ত চুক্তি বা সীমানা প্রটোকল নিয়ে আলোচনা করতে চায় বাংলাদেশ। ১৯৬৬ সালে প্রথম পাকিস্তান ও বার্মার মধ্যে সীমান্ত প্রটোকল চুক্তি সই হয়। এ সময়ে নাফ নদীকে সীমান্ত হিসেবে চিহ্নিত করে দুই দেশ। এর পর ১৯৮০ সালে প্রথম বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে এর সম্পূরক সীমান্ত প্রটোকল চুক্তি সই হয়। ২০০৭ সালে দুই দেশই এটিকে প্রাতিষ্ঠানকি রূপ দিতে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছে। যদিও দুই দেশই এর সরকারের পক্ষ থেকে অনুসমর্থনের আনুষ্ঠানিকতা বাকি রয়েছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী হলেও মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। ফলে যত দ্রুত সম্ভব সম্পূরক সীমানা প্রটোকল অনুসমর্থন করতে চায় দুই দেশই। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চাইছে উভয় দেশের যে কোনো সুবিধাজনক সময়ে এটি করিয়ে নিতে। চুক্তির মধ্যে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, সীমান্ত পিলার রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো রয়েছে।

সূত্র জানায়, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে সীমান্ত ও রোহিঙ্গাসহ দ্বিপক্ষীয় সব ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে এ বৈঠকে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত নিরাপত্তা বৈঠক অনুষ্ঠানের বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে। আলোচনা হবে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের বাংলাদেশ সফর নিয়েও।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ