ভোলা সদর ও চাঁদপুরের হাইমচরের মেঘনা এবং শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে ভেসে উঠেছে আরো তিনটি লাশ। তারা মুন্সীগঞ্জে ডুবে যাওয়া লঞ্চ পিনাক-৬ এর যাত্রী ছিলেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভোলায় পাওয়া লাশটি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক যুবকের, তার নাম ফাহাদ। অন্য দুটি মৃতদেহ অজ্ঞাত পরিচয় দুই নারীর।
আমাদের ভোলা প্রতিনিধি জানান, সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের রামদাসপুর এলাকার মেঘনা নদীতে এক যুবকের লাশ ভাসতে দেখে বুধবার সকাল ৯টার দিকে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। লাশ উদ্ধারের পর তার পকেটে পাওয়া মোবাইল ফোনের সিম থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, ওই যুবকের নাম ফাহাদ, বাড়ি ঝালকাঠিতে।
এদিকে আমাদের চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের মাঝিরবাজার এলাকায় মেঘনা নদীতে পাওয়া গেছে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর লাশ। বুধবার সকালে নদীতে লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী খবর দেয়। পরে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার নীলকমল ইউনিয়নের মধ্যচর এলাকার মেঘনা নদীতে থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ, যার মধ্যে একজন মুন্সীগঞ্জের ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রী ছিলেন বলে পুলিশের ধারণা।
এদিকে আমাদের শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, বুধবার সকালে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার চর আত্রা এলাকায় পদ্মা নদীতে আরো এক নারীর লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। নিহতের বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
প্রসঙ্গত, সোমবার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে এমএল পিনাক-৬ নামের একটি ছোট লঞ্চ মাওয়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে ৩০-৩৫ জন যাত্রী ওঠানো হয়। লঞ্চটি মাওয়ার অংশের উত্তাল পদ্মা পাড়ি দেয়ার সময় ঢেউ, দমকা বাতাস ও ঘূর্ণিস্রোতে আক্রান্ত হয়। পরে কাত হয়ে এক মিনিটের মধ্যেই ডুবে যায়।