আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন তিনি। এতে তিনি হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা, নির্দেশদাতা, কীভাবে অপহরণ, হত্যা ও লাশ নদীতে ফেলে দেয়াসহ সব ঘটনার বর্ণনা করেন আরিফ।
আদালতে জবানবন্দি শেষে আরিফ হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি মামুনুর রশিদ মন্ডল জবানবন্দির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে অংশ নেয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, জবানবন্দিতে আরিফ সাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার কওে জবানবন্দি দিয়েছেন। কীভাবে অপহরণ ও হত্যা করা হয়েছে তার সবকিছু আদালতে বলা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা বলা ঠিক হবে না।
আরিফ হোসেন সেভেন মার্ডারের মামলার আসামি। তিনি আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ এর উপ অধিনায়ক ছিলেন।

২৭ এপ্রিল সাতজনকে অপহরণের পর ২৯ এপ্রিল রাতে সেসময়ের জেলা প্রশাসক মনোজ কান্তি বড়াল, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, র্যাব-১১ এর সিইও তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ, ক্রাইম প্রিভেনশনাল স্পেশাল কোম্পানির কমান্ডার লে. কমান্ডার এমএম রানা, ফতুল্লা থানার ওসি আক্তার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল মতিনকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
৩০ এপ্রিল ৬ জন এবং ১ মে অপর একজনসহ মোট ৭ জনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাকে র্যাব থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়।