1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন

‘মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে’

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২ জুন, ২০১৪
  • ৬৭ Time View

mayanmar_bgbবাংলাদেশের বান্দরবানের কাছে মিয়ানমার সীমান্তে দুদেশের সীমান্তরক্ষীদের গোলাগুলি এবং একজন বিজিবি সদস্য নিহত হবার পর সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত হয়ে এলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি বলছে, পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।

সীমান্তের উভয় পাশেই দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

বান্দরবানের দুর্গম নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় মিয়ানমার সীমান্তবর্তী কয়েকটি সীমান্ত পিলার সংলগ্ন এলাকাগুলোতে ঘুরে স্থানীয় একজন সাংবাদিক বলছেন, তিনি স্থানীয় বিজিবি চৌকিগুলোতে অতিরিক্ত জওয়ানদের উপস্থিতি দেখেছেন।

এদিকে নিহত বিজিবি সদস্য নায়েক মিজানুর রহমানের মৃতদেহ – যা মিয়ানমারর বর্ডার গার্ড পুলিশ বা বিজিপি গতকালই বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে – তা রোববার নাইক্ষ্যংছড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

নাইক্ষংছড়ি সীমান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত একত্রিশ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিকুর রহমানও বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে সীমান্তে শক্তিবৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সীমান্তের ওপাশেও সামরিক উপস্থিতি আছে বলে তারা আভাস পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, শুক্রবারের পর আর গোলাগুলি হয়নি, পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরো কিছুটা সময় লাগবে।

বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, “আমরা প্রস্তুত আছি এবং সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছি। আমাদের সবগুলো ক্যাম্পেই জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।”

পাহাড়ি পরিবারগুলো ঘরে ফিরছে
তবে সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির পর নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়া কিছু পাহাড়ি পরিবারকে রোববার নিজ নিজ ঘরে ফিরতে দেখা গেছে।

এদিকে স্থানীয় সাংবাদিক চবাথি মারমা  জানান, গত শুক্রবারের গুলিবিনিময়ের পর সীমান্তবর্তী বাংলাদেশ অংশের পাহাড়ি গ্রামগুলো থেকে অন্তত ৫০টি পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

মি. মারমা সারাদিন গ্রামগুলোতে ঘুরে দেখতে পেয়েছেন, তারা আবার বাড়ি ফিরে আসতে শুরু করেছে।

বিরল ঘটনা
বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্তে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই শোনা গেলেও মিয়ানমার সীমান্তে এ ধরনের উত্তেজনা, গোলাগুলি বা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিরল।

বিজিবি বলছে, বাংলাদেশ মিয়ানমারের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠি রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন বা আরএসওকে আশ্রয় প্রশয় দিচ্ছে, দেশটির এমন একটি অভিযোগের পর গত মাসের মধ্যভাগ থেকে মূলত দুদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

মে মাসের তেইশ তারিখ একটি পতাকা বৈঠকে মিয়ানমার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলে এবং বাংলাদেশ অভিযোগ অস্বীকার করে। বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে এধরনের সংগঠনের কোনো অস্তিত্ব নেই।

বিবিসি মিয়ানমার সার্ভিস জানাচ্ছে, ওই পতাকা বৈঠকের আগে সতেরোই মে সীমান্তে একটি সংঘর্ষের ঘটনায় মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশের চারজন সদস্য প্রাণ হারায়।

বিজিবি অভিযোগ করছে, এরপর কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীরা বিজিবির একটি টহল দলের ওপর গুলি চালায়, তখন একজন বিজিবি সদস্য নায়েক মিজান নিখোঁজ হন। বিজিবির পক্ষ থেকে সাথে সাথেই তার প্রতিবাদ করে নায়েক মিজানকে ফেরত চাওয়া হয়, এবং কূটনৈতিক পর্যায়েও তৎপরতা চালানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ নায়েক মিজানের মৃতদেহ থাকার কথা স্বীকার করে।

নিহত মিজানুর রহমানের লাশ শনিবার রাতে হস্তান্তরের পর রোববার নাইক্ষ্যংছড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

বিবিসি মিয়ানমার সার্ভিস জানাচ্ছে, নিহত মিজানুর রহমানের পরনে বিজিবির পোশাক ছিলো না বলে মিয়ানমারর বর্ডার পুলিশ দাবি করে এবং তাকে আরএসও সদস্য মনে করে তারা হত্যা করেছে।

তবে বিজির্বির লেফটেন্যান্ট কর্নেল রহমান বলছেন, নিহত মিজানুর রহামান বিজিবির পোশাক পরিহিত অবস্থাতেই একটি টহল দলের সাথে সাদা পতাকা হাতে সীমান্ত পিলার পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন। এরপরই তাদের উপর আকস্মিক গুলি চলে এবং এক পর্যায়ে মিজানুর রহমান নিহত হয়।

এরকম বক্তব্য পাল্টা বক্তব্য যখন চলছে, তখন বিজিবি মহাপরিচালক একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে এ মাসেই মিয়ানমার যাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে।– বিবিসি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ