শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার বলেছেন, শ্রমিকরা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শোষনের শিকার হওয়ার কারণে তাদের জীবন ও জীবিকা অনিশ্চয়তার মধ্যে থেকে যায়। তাই জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় এ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের শ্রম আইনের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নারী শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্য ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মিকাইল শিপার বলেন, অনিশ্চিত মজুরি প্রদান, অস্থিতিশীল আয়, অনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা, নারী শ্রমিকদের প্রতি মজুরি বৈষম্য, ছুটি ও প্রচলিত সুবিধাদি প্রদানের বিধান না থাকার কারণে প্রতিনিয়ত শ্রমিকদের শ্রম শোষণের শিকার হতে হয়।
তিনি বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের পাশাপাশি নারী-পুরুষের মজুরি বৈষম্য দূর করা, চিকিৎসা, বাসস্থানের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের যথাযথ উন্নয়নে সব পক্ষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি জাতীয় নীতিমালা তৈরি করা জরুরি। জাতীয় অর্থনীতির তত্ত্বগত এবং ব্যবহারিক উভয় ক্ষেত্রে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা। দীর্ঘদীনের বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে কর্মজীবী নারীর অবদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
তারা আরো বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের উন্নয়নে সরকারের যথাযথ হস্তক্ষেপ এবং সহায়তা প্রদান করতে হবে। এই খাতে কর্মপরিবেশ উন্নত করতে হবে। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সেমিনারে সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিলু রায়, সাবেক সংসদ সদস্য রওশন জাহান সাথী, শ্রম বিষয়ক গবেষক ও জবির সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহিদা পারভীন শিখা প্রমুখ।