1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে: ড. সালেহউদ্দিন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত : নৌপরিবহন উপদেষ্টা হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল ২০২৪-কে ১৯৭১-এর মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করি : মাহফুজ আলম ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যকে জাতীয় শক্তিতে পরিণত করতে হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ হাদিকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সিঙ্গাপুরের পথে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে ডাকসুর মার্চ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না : সিইসি বিজয় দিবসে ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল চলাচল হাদিকে সিঙ্গাপুর নিতে ঢাকায় এসেছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স

‘বিএনপির ওয়েবসাইটে ঢোকা যাচ্ছে না’

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৪
  • ১০৬ Time View

hack‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ বিতর্কের মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হলো বিএনপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট৷ শুক্রবার পর্যন্ত ঐ সাইটে প্রবেশ করা গেলেও এখন যাচ্ছে না৷ তবে বিএনপির দাবি, কারিগরি ত্রুটির কারণে সাইটটি দেখা যাচ্ছে না৷

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তার আগে তারেক রহমানের কণ্ঠে জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করা হয়৷ গত মঙ্গলবার প্রথম দাবিটি করেন জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান৷

এর একদিন পর তারেক রহমানের মা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও একই দাবি করেন৷ বিএনপির অনেক নেতা এই বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেয়ারও চেষ্টা করেন৷ কিন্তু তারা যখন এই দাবি করছেন তখনও বিএনপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখা যায় জিয়াউর রহমান সপ্তম রাষ্ট্রপতি?

এ নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে ঝড় উঠে৷ এর একদিন পরই বিএনপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দেয়া হয়৷ শুক্রবারও ওয়েবসাইটটি দেখা গেছে৷ কিন্তু শনিবার থেকে আর সেটা দেখা যাচ্ছে না৷ বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিতর্ক এড়াতে সাইটটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে৷ তবে তাদের অফিসিয়াল ভাষ্য, কারিগরি ত্রুটির কারণে সাইটটি দেখা যাচ্ছে না৷ ঠিক করার কাজ চলছে, শেষ হলে আবার দেখা যাবে৷ এ নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই বলেও দাবি তাদের৷

গত মঙ্গলবার লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তারেক রহমান দাবি করেন, তাঁর পিতা জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের ‘প্রথম’ রাষ্ট্রপতি ও ‘স্বাধীনতার ঘোষক’৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে এ দাবির সমালোচনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, তাঁর স্বামীই ছিলেন দেশের ‘প্রথম’ রাষ্ট্রপতি৷

ওই দিনও বিএনপির ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা গেছে, সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘১৯৭৮ সালে বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দলটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল৷”

একইদিন সন্ধ্যায় স্বাধীনতা দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁরা (বিএনপি নেতারা) এখন ফর্মুলা পাল্টেছেন৷ এতোদিন তাঁরা বলেছেন, জিয়া স্বাধীনতার ‘ঘোষক’; এখন বলছেন, ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’৷ স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান৷

আর শনিবার এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা প্রয়োজন৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সংবিধানে প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ৷ সুতরাং, তাঁদের এই বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহী, সংবিধান পরিপন্থি ও ষড়যন্ত্রমূলক৷ এজন্য তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে গ্রেফতার করা প্রয়োজন৷”

এর একদিন আগে শুক্রবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে ‘মিথ্যার উপর রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নির্মাণ’ করতে চাইছে৷ জিয়াউর রহমান ‘সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিকভাবে কখনোই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিল না’ মন্তব্য করে জয় বলেছেন, খালেদা জিয়ার পুরো জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত৷

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের এই দাবি থেকে এখনো সরে আসেনি বিএনপি৷ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া৷ সেখানে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বিএনপিপন্থি অংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার তাঁর বক্তব্যে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ বলে উল্লেখ করেন৷ এসময় মঞ্চে উপস্থিত খালেদা জিয়া মাথা নেড়ে তাঁর এই বক্তব্যে সায় দেন৷

ওই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে বর্তমান বিরোধীদল নেতা রওশন এরশাদকে সময় থাকতে পদত্যাগ করে নিজেদের সম্মান বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছেন৷ খালেদা জিয়া রওশন এরশাদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিরোধীদল নেতা বলে যিনি নিজের পরিচয় দেন, তিনি বলেছেন, চাপের মুখে পড়ে নির্বাচনে গেছি৷ চাপতো আমাদেরও ছিল! আমরাতো নির্বাচনে যাইনি! জনগণের কথা ভেবেছি৷ তাহলে কী চাপে গেছেন? তিনি এসময় রওশন এরশাদের সমালোচনা করে বলেন, নিশ্চয়ই কোনো অপকর্ম আছে৷ তার জন্য ব্যবস্থাও নিশ্চয়ই হবে ইনশাল্লাহ৷ এখনও সময় আছে, যেহেতু বলছেন, নির্বাচন করবেন না৷ তাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিজেদের অবশিষ্ট সম্মান বাঁচান৷-ডিডব্লিউ

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ