1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ন

নেপালে নিখোঁজ বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় মারা গেছে সব যাত্রী।

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪
  • ৮৬ Time View

নেপালে নিখোঁজ বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় মারা গেছে সব যাত্রী। মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। সোমবার নেপাল পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। উদ্ধার করা হয়েছে সবকটি দেহ।

রোববার পোখরা থেকে উড্ডয়নের পর নিখোঁজ হয়ে যায় নেপাল এয়ারলাইনসের একটি ছোট বিমান।

পোখরা থেকে জুমলা যাওয়ার পথে বিমানটির সঙ্গে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সোমবার মাঝ আকাশে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে যায় বিমানটি ৷ অথচ, পোখরা থেকে উড্ডয়নের সময়ে আকাশ পরিচ্ছন্নই ছিল। অর্ঘ্যকাঞ্চি জেলায় মাসিনেলেক পাহাড়ে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

অত্যন্ত দুর্গম জায়গায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষ এবং যাত্রী ও পাইলট-বিমানকর্মীদের মৃতদেহ পড়েছিল। ফলে উদ্ধারকাজে প্রবল বাধা এসেছে। নেপালের অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের আধিকারিক বিমলেশলাল কর্না জানিয়েছেন, জায়গাটি এতই দুর্গম যে, হেলিকপ্টার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি৷

যদিও শেষ পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা সেখানে পৌঁছাতে সক্ষম হন ৷ ১৮টি দেহই কাঠমা-ুতে আনা হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের পর সেগুলো পরিজনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ‘মৃত যাত্রীদের মধ্যে ডেনমার্কের এক নাগরিকও রয়েছেন৷ নেপাল সরকারের তরফে ডেনমার্ক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটিতে কোনো ত্রুটি ছিল না বলে জেনেছেন সরকারি কর্মকর্তারা। বিমলেশলাল কর্নার দাবি, ইঞ্জিনিয়াররা খুব ভালো করে বিমানটি পরীক্ষা করেছিলেন কয়েক দিন আগেই। তারা সেটিকে ‘ফিট সার্টিফিকেট’ দিয়েছেন। নেপাল সরকারের দাবি, খারাপ আবহাওয়াই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তবে প্রশ্ন উঠেছে ভৈরহাওয়া বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের ভূমিকা নিয়ে৷

জানা গেছে, উড়ানের প্রায় আধা ঘণ্টা পর খারাপ আবহাওয়ায় পড়ে যায় বিমানটি৷ সে সময়ে পাইলট শঙ্কর শ্রেষ্ঠা ভৈরহাওয়া বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিমানের যাত্রাপথ বদলের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়েছিলেন৷ তার পরই বিমানটির সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়৷ ভৈরহাওয়ার এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল সে অনুমতি দিতে গড়িমসি করেছিল কি না, সে প্রশ্ন উঠছে।

এক বছরের মধ্যে এটি নেপালে দ্বিতীয় বিমান দুর্ঘটনা। নেপালের বিমানগুলির মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)৷ তারা মনে করে, নেপালের বিমানগুলো নিরাপদ নয়। সে কারণে গত ডিসেম্বরে নেপালের বিমানগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তার পর থেকেই ইইউ দেশগুলোতে নেপালের বিমান ঢুকতে দেওয়া হয় না।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ