1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন

ফেসবুক স্ট্যাটাস: ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাস্তি

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৪
  • ১০৮ Time View

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছাত্রলীগের দুই নেতার স্ট্যাটাস ও ছবি দেওয়া নিয়ে সংগঠনটিতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার জের ধরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপ-আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক লিটন মাহমুদকে সাময়িক বহিষ্কার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান বলেন, দুজনই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে শাস্তিমূলক এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেহেদী হাসানকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত শনিবার। ওই দিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার একটি তরল দুধের স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে দেন মেহেদী হাসান ওরফে রনি। ছবিটিতে একজন নারী বিক্রেতার প্রতিকৃতিও উঠে আসে। ছবিটির নিচে মেহেদীর ‘ফেসবুক ফ্রেন্ডরা’ পঞ্চাশের অধিক মন্তব্য করেন, যার অধিকাংশই ছিল অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ।
বিষয়টি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আফরিন নুসরাতের নজরে এলে তিনি ছবির নিচে বিরূপ মন্তব্যের সমালোচনা করে একটি মন্তব্য করেন। ওই মন্তব্যের নিচেই নুশরাতকে উদ্দেশ করে মেহেদী হাসানের অনুসারী ও হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রমজান হোসেন অশ্লীল মন্তব্য করেন।
এ ঘটনাকে নারী ও নারী নেতৃত্বের প্রতি অবমাননা হিসেবে নেন আফরিন নুসরাত ও তাঁর অনুসারীরা। ঘটনার প্রতিবাদে ও মেহেদী হাসানের শাস্তির দাবিতে সোমবার সন্ধ্যায় আলোর মিছিল বের করেন তাঁরা।
এদিকে গতকাল ছাত্রলীগের নেতা লিটন মাহমুদ তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি এক নারীকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলেন। সেখানে তিনি মুখোশধারী ভদ্র মেয়েদের থেকে সাবধানে থাকার জন্য তাঁর ফেসবুক-বন্ধুদের প্রতি আহ্বান জানান। এই স্ট্যাটাস দেখে আবার ক্ষিপ্ত হন নুসরাত। বেলা আড়াইটার দিকে মধুর ক্যানটিনে এই স্ট্যাটাস নিয়ে লিটনের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে নুসরাত লিটনকে মারতে উদ্যত হন। আশেপাশে থাকা বিভিন্ন হলের নেতা-কর্মীরা এসে দুপক্ষকে থামাতে সচেষ্ট হন। কিন্তু এর মধ্যেই তাঁদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। উভয় পক্ষই অশ্লীল গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে নেতারা মধুর ক্যানটিন থেকে চলে যান।
লিটন মাহমুদ বলেন, তিনি নুসরাতকে উদ্দেশ করে কিছু লেখেননি, তা ছাড়া তাঁর ব্যক্তিগত মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে।
তবে আফরিন নুসরাত বলেছেন, লিটন তাঁকে উদ্দেশ করেই স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন। এর তথ্যপ্রমাণও তাঁর কাছে রয়েছে। তিনি বলেন, ইদানীং ফেসবুকে সুযোগ পেলেই নারীদের নিয়ে কটূক্তি করা হয়। এ কারণেই এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন তাঁরা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ