1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২১ পূর্বাহ্ন

সাতক্ষীরা অভিযানে জামায়াত নিধনের অভিযোগ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৪
  • ৮৬ Time View

বাংলাদেশে ৫ই জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের আগে ও পরে দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। (ফাইল ফটো)

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা সাতক্ষীরার দেবহাটায় যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় দু’জন এবং ঝিনাইদহে একজন জামায়াত ও শিবির কর্মীসহ মোট তিনজন নিহত হয়েছে।

পুলিশ বলছে, এরা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তবে দেবহাটার জামায়াতের নেতারা বলছেন, জামায়াতকে দমন করতে তাদের কর্মীদের ধরে নিয়ে হত্যা করছে আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনী। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করছে স্থানীয় পুলিশ।

অন্যদিকে মানবাধিকার কর্মীরা এ ধরনের ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছেন।

দেবহাটার পুলিশ বলছে রোববার সকালে সেখানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দু’জন নিহত হয়। দেবহাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারক বিশ্বাস জানিয়েছেন, “নিহত ঐ দুজন নানা অভিযোগে আগে থেকেই গ্রেফতার ছিলেন। তাদের নিয়ে সকালে যৌথ বাহিনী এক অভিযানে গেলে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা তাদের ছিনিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালায় এবং যৌথবাহিনীর উপর বোমা হামলা চালায়।”

সে সময় সেই বোমার স্প্লিনটারে ঐ দু’জন নিহত হন বলে মি: বিশ্বাস দাবি করেন।

দেবহাটার জামায়াত নেতারা অবশ্য কোন ধরনের বন্দুকযুদ্ধের কথা অস্বীকার করেছেন। দেবহাটা জামায়াতের সেক্রেটারি নুর মোহাম্মদ বলেন, তাদের কর্মীদের ধরে নিয়ে পরে হত্যা করা হচ্ছে।

তিনি জানান, “আমরা প্রথমে শুনেছিলাম তাদের নিয়ে অভিযানে যাবে যৌথ বাহিনী কিন্তু পরে শুনি ফজরের আজানের সময় একজনের বাড়ির সামনে তাদের গুলি করে মেরে রেখে গেছে।”

বন্দুক যুদ্ধের ব্যাপারে পুলিশের বক্তব্যকে তিনি মিথ্যা বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও দাবি করেন, “ইদানীং যাদের ধরা হচ্ছে তাদের মেরে ফেলার পর পুলিশ বন্দুকযুদ্ধ বলে চালিয়ে দিচ্ছে।”

গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে মানবতা-বিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদির বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার পর থেকে সহিংস ঘটনার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে সাতক্ষীরা জেলার অধিবাসীরা।

গত মাসের ১৫ তারিখ থেকে সাতক্ষীরার সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সেখানে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। তার পর থেকে এ পর্যন্ত আট জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

জামায়াত নেতা নুর মোহাম্মদ বলেন, জামায়াতকে দমন করেতে এসব কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

এদিকে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ওদিকে স্থানীয় জামায়াত শিবির নেতা কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের আতংক কাজ করছে। সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রেও তার শঙ্কিত।

সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলাগুলোতে বন্দুকযুদ্ধ বা ধরে নিয়ে হত্যার অভিযোগ সম্পর্কে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নুর খান লিটন বলেন, “সাম্প্রতিক কালে সাতক্ষীরা বা অন্যান্য অঞ্চলে বন্দুকযুদ্ধ বা ধরে নিয়ে যাওয়ার যেসব কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি, সেটা খুবই উদ্বেগজনক এবং এ ধরনের ঘটনা যখন ঘটে বা মানুষ এ বিষয় নিয়ে যখন আলাপ করে তা গণতন্ত্রের জন্য খুবই ক্ষতিকর।”

তিনি বলেন এই পরিস্থিতির উপর তারা নজর রাখছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ