‘টেলিভিশন’-এর জয়জয়কার

‘টেলিভিশন’-এর জয়জয়কার

taleeমোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’ সিনেমাটির জয়জয়কার চলছে সর্বত্রই। বিশ্ব মিডিয়ায়ও একাধিকবার শিরোনাম হয়েছে এই সিনেমাটি। জিতে নিয়েছে একাধিক অ্যাওয়ার্ড। অস্কারে লড়াই করতে যাওয়া সিনেমাটির গায়ে জুটলো আরো একটি সাফল্যের মেডেল। প্রথম বাংলাদেশী সিনেমা হিসেবে এশিয়া প্যাসিফিক সিনেমায় মনোনয়ন পেলো ফারুকীর টেলিভিশন।

সিনেমার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন এওয়ার্ড’ ২০১৩-তে মনোনয়ন লাভ করেছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’ ছবিটি। ১২ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে একাডেমী চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা করে। সেখানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘টেলিভিশন’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র এবং শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য দুটি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন লাভ করে।

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী এবং শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের জন্য মনোনীত হয়েছেন ফারুকী ও আনিসুল হক। সর্বোচ্চ তিনটি মনোনয়ন লাভ করেছে হানি আবু-আসাদ’র সিনেমা ‘ওমর’। টেলিভিশন ছাড়াও দুটি করে মনোনয়ন লাভ করেছে আসগার ফারহাদি’র ‘দ্যা পাস্ট’ ও হিরোকাজু কোরিয়াদার’র ‘লাইক ফাদার, লাইক সান’। একটি করে মনোনয়ন লাভ করেছে ওং-কার ওয়াই এর ‘গ্র্যান্ড মাস্টার’, হাইফা আল-মনসুর’র ‘ওয়াজদা’, এন্থনি চ্যান’র ‘ইলো ইলো’, রিতেশ বাত্রা’র ‘লাঞ্চ বক্স’ ইত্যাদি।

‘এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন একাডেমী’ এই অঞ্চলের চলচ্চিত্রের উৎকর্ষ বিচার ও মূল্যায়নের জন্যে এই পুরস্কার করে থাকে। অস্কারের আদলে এই পুরস্কারের জন্যেও সদস্য রাষ্ট্রগুলো নির্বাচিত ছবি জমা দেয়। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত একাডেমী হেড-কোয়ার্টার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ছবিগুলোকে প্রতিযোগিতার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখান থেকে নমিনেশন কাউন্সিলের বিচারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য, শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে ৫টি করে ছবিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তবে এ বছর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে ৬টি ছবিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আর সেই বিভাগেই যায়গা করে নিয়েছে ‘টেলিভিশন’।

২০১৩ সালের পুরস্কারের জন্যে ৪১টি দেশের ২৩০টি ছবি এই পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতা করেছে। তার মধ্যে আছে কান-ভেনিস-বার্লিনে সাড়া জাগানো অনেকগুলো ছবি। প্রতিযোগিতার উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো ছিল ওং-কার ওয়াই এর ‘গ্র্যান্ড মাস্টার’, আসগার ফারহাদির ‘দ্যা পাস্ট’, জাফর পানাহীর ক্লোজড কার্টেন’, কিম কি-দুকে’র ‘মিবিয়াস’, হিরোকাজু কোরিয়াদা’র ‘লাইক ফাদার, লাইক সান’, এন্থনি চ্যান’র ‘ইলো ইলো’, অনুরাগ কাশ্যপ’র ‘আগলী’, রিতেশ বাত্রা’র ‘লাঞ্চ বক্স’, হানি আবু-আসাদ’র ‘ওমর’, হাইফা আল-মনসুর’র ‘ওয়াজদা’ ইত্যাদি।

সোমবার ঢাকায় চ্যানেল আই ভবনে বাংলা ছায়াছবি সম্মুখ পানে শিরোনামে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের জন্য এই আনন্দের সংবাদ ঘোষণা করেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড ও চ্যানেল আই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আনিসুল হক ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এওয়ার্ড নাইটে অংশ নেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ব্রিজবেন যাচ্ছেন ফরিদুর রেজা সাগর, আনিসুল হক, ফারুকী ও তিশা। সেখানে জুরিদের চূড়ান্ত বিচারে পুরস্কৃতদের নাম ঘোষণা করা হবে

বিনোদন