বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা আসছে না। এখন এলেও তাদের নেয়া হবে না।”
বৃহস্পতিবার বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও পরদিন থেকে খেলা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ছাড়াই নির্ধারিত সময়ে বিপিএলের দ্বিতীয় আসর শুরু হবে জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, “যথাযোগ্য বিকল্প খেলোয়াড় আনা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে বিপিএল শুরু হবে। সূচিতে পরিবর্তন আনার কোনো সুযোগ নেই।”
বিসিবির গণমাধ্যম ও যোগাযোগ কমিটির সভাপতি জালাল ইউনুস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) পিসিবিকে ই-মেইলে জানানো হয়েছিল, ক্রিকেটার পাঠানোর বিষয়টি আজ (বুধবার) সকাল ১০টার মধ্যে নিশ্চিত করতে। এর মধ্যে আমরা কোনো জবাব পাইনি।”
“তাদের চিফ অপারেটিং অফিসার সুবহান আহমেদ আনঅফিসিয়ালি জানিয়েছেন, পাকিস্তান সফরের ব্যাপারটি নিশ্চিত না করলে বিপিএলে খেলোয়াড় পাঠাবে না,” বলেন তিনি।
নিরাপত্তা শঙ্কায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর স্থগিত হওয়ার পর পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে বিপিএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে বিক্রি হওয়া খেলোয়াড়দের ছাড়পত্র আটকে দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
নির্ধারিত সময়ে কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারের ছাড়পত্র না পেয়ে বুধবার সকালে জরুরি সভায় বসে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল।
এদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি জাকা আশরাফ বুধবার পাকিস্তানি ওয়েবসাইট পাকপ্যাশন ডটনেটকে বলেন, “সময় সীমা আসবে-যাবে। এমন নয় যে এই প্রথম আমাদের সময় সীমা বেঁধে দেয়া হলো। অতীতে পাকিস্তান সফরের জন্য আমরাও বাংলাদেশকে সময় বেঁধে দিয়েছিলাম, যেটা এসে চলেও গেছে।”
“দুই বোর্ডের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য বিসিবি আমাদের খেলোয়াড়দের ছাড়তে বলেছে। আমরা প্রস্তুতও ছিলাম। কিন্তু সুসম্পর্ক এবং সমর্থন পারস্পারিক হতে হয়।”
এই সংকটের সমাধান না হলে আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি অনুযায়ী পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলকে বাংলাদেশে না পাঠানোরও ইঙ্গিত দিয়েছেন পিসিবি সভাপতি।
আইসিসির সহসভাপতি হওয়ার পথে বিসিবির সাবেক সভাপতির আ হ ম মুস্তোফা কামালকে পিসিবি প্রয়োজনীয় সমর্থন দিয়েছিল উল্লেখ করে আশরাফ বলেন, “পিসিবির কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার পর যখন পিসিবিকে সমর্থন দেয়ার সময় এলে তারা আমাদের খাদে ফেলে দিল। স্বাভাবিকভাবেই এটা দুই দেশের ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনাকে লাইনচ্যুত করবে।”