ব্রিটেনেই স্থায়ী হচ্ছে মালালার পরিবার

ব্রিটেনেই স্থায়ী হচ্ছে মালালার পরিবার

ব্রিটেনেই স্থায়ী হচ্ছে তালেবানের গুলিতে আহত পাকিস্তানের নারীশিক্ষা-অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাইর (১৫) পরিবার।

শনিবার এসংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।

জানা গেছে, মালালা ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবান। এর আগে মালালার ওপরে হামলার পরই সংগঠনটি জানিয়েছিল, মালালা যদি বেঁচে যায়, তা হলে আবার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হবে। তাই মালালার পরিবার পাকিস্তানে ফিরে গেলে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যাচ্ছে।

বিষয়টি অনুধাবন করে পাকিস্তান সরকার মালালার বাবা জিয়াউদ্দিনকে বার্মিংহমে পাকিস্তানের কনস্যুলেট অফিসে একটি চাকরি দিচ্ছে।

কনস্যুলেট অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে এক বছরের চুক্তিতে জিয়াউদ্দিনকে চাকরি দেওয়া হবে। পাকিস্তান সরকার তাকে বার্মিংহামে একটি বাড়ি দেবে। তাকে একটি গাড়িও দেওয়া হবে। পাকিস্তান পরিবারটির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সরকার পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে দায়িত্ব মনে করছে।

বার্মিংহাম লেবার পার্টির সাংসদ খালিদ মাহমুদ সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।

মালালা এ মুহূর্তে বার্মিংহামে কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মালালার সঙ্গে তার মা,বাবা ও দুই ভাই যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। মালালার পরিবার টুরিস্ট ভিসায় যুক্তরাজ্যে এসেছে। ২০১৩ সালের মার্চে তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হবে।

গত ৯ অক্টোবর স্কুল থেকে ফেরার পথে নারীশিক্ষা আন্দোলনকর্মী মালালাকে গুলি করে পালিয়ে যায় তালেবান সদস্যরা। ১০ অক্টোবর পেশোয়ারের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে তার গুলি অপসারণ করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য  তাকে কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় ।

মালালা পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার বাসিন্দা। ২০০৭ সালে সোয়াত উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যায়।সোয়াত উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরই বালিকাদের স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দেয় তালেবান। ২০০৯ সালে সোয়াত থেকে  তালেবানের উৎখাত করে সরকার।

তালেবান যখন সোয়াত উপত্যকায় বালিকাদের স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দেয় তখন মালালার বয়স ছিল ১১ বছর। তালেবান অধ্যুষিত সোয়াত উপত্যকায় নারীশিক্ষার ওপর তালেবানি নিষেধাজ্ঞা জারির বিরুদ্ধে বিবিসি অনলাইনের ব্লগে ‘গুল মাকাই’ ছদ্মনামে লেখালেখি শুরু করলে পরিচিত হয়ে ওঠে কিশোরী মালালা ইউসুফজাই।

গতবছর মালালাকে পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক