1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
গাজা যুদ্ধবিরতি দ্বিতীয় ধাপ শুরুর ঘোষণা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল কোনো ছাড় নয়, ইউক্রেনকে ডনবাস ছাড়তে হবে নয়তো শক্তি প্রয়োগে স্বাধীন করব কেউ কেউ জুলাইয়ের স্পিরিটকে বিক্রি করে দিচ্ছে : শিবির সভাপতি ঢাকায় পৌঁছেছেন ডা. জুবাইদা বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আজ সারা দেশে দোয়া প্রার্থনা ফাঁকা আরো ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইজিপিকে অপসারণে আইনি নোটিশ জুবাইদা রহমান কাল সকালে দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন : মাহদী আমিন মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিদের ৮৮টি বন মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

গড় হিসাবের ফলে গরিব মানুষের পুষ্টি ঘাটতি আড়াল হচ্ছে: মৎস্য উপদেষ্টা

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২২ Time View

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার দেশের সামগ্রিক পুষ্টি চিত্র নির্ধারণে গড় হিসাবের ওপর নির্ভর করাকে একটি ‘বিপজ্জনক প্রবণতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, এই গড় হিসাবের ফলে গরিব মানুষের প্রকৃত খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টি ঘাটতি আড়াল হয়ে যাচ্ছে, যা নীতিনির্ধারণে ভুল ধারণা তৈরি করছে।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) আয়োজিত চার দিনব্যাপী ‘কৃষি ও খাদ্যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার দেশীয় জাতের মাছ, মাংস ও প্রাণিসম্পদকে বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে এগুলো রক্ষা করার আহ্বান জানান। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ এখনও দেশীয় মাছ ও প্রাণিসম্পদের দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ, যেখানে পৃথিবীর অনেক বিলুপ্তপ্রায় সম্পদ টিকে আছে।

তিনি বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে শিল্প হিসেবে দেখা হলেও এর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ উৎপাদন এখনও গ্রামীণ সাধারণ মানুষের হাতেই হচ্ছে। শিল্পায়ন প্রয়োজন হলেও দেশীয় প্রজাতির সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং সংকর জাত তৈরির সময় দেশীয় জাতের মৌল বৈশিষ্ট্য যেন হারিয়ে না যায়, সেদিকে কঠোর সতর্কতা দেন তিনি।

পুষ্টিহীনতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জিরো হাঙ্গার’ মানে শুধু পেট ভরে খাওয়া নয়, পুষ্টিমান নিশ্চিত করাও জরুরি। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, বছরে মাথাপিছু ডিম খাওয়ার সংখ্যা ১৩৭টি বলা হলেও, এই গড় হিসাব ধনী-গরিবের প্রকৃত খাদ্যাভ্যাসের বৈষম্যকে আড়াল করে দেয়।

তিনি গ্রামীণ খাদ্য ব্যবস্থার বৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে জানান, অনেক সময় উৎপাদনকারী জেলার মানুষও নিজ এলাকার দেশীয় মাছ খেতে পারেন না। তিনি সাংবাদিকদের এসব বাস্তব তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানান।

একইসঙ্গে তিনি একোয়াকালচারের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, অনিয়ন্ত্রিত ফিড ও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে ভবিষ্যতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এসব বিষয়ে এখনই নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।

মাংস খাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু গরুর মাংসই একমাত্র উৎস নয়; মহিষ, ভেড়া, হাঁস-মুরগি ও কোয়েলসহ সব ধরনের মাংস ও ডিমের দিকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। খাদ্যে ফোর্টিফিকেশনকে একমাত্র সমাধান হিসেবে দেখার প্রবণতা থেকেও বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ