1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫২ অপরাহ্ন

ট্রেনে ভ্রমণের সঙ্গে কেনাকাটাও

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১২
  • ৭২ Time View

রেলপথে দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি ঘোচাতে ভারতের দূরপাল্লার বিলাসবহুল ‘শতাব্দী’ ট্রেনে যাত্রীদের জন্য সংযোজিত হচ্ছে চলন্ত ট্রেনেই কেনাকাটার সুযোগ। ফলে এখন থেকে ভ্রমণের সময়ই পছন্দের কেনা-কাটা অনায়াসে সেরে নিতে পারবেন শতাব্দীর যাত্রীরা।

দূরপাল্লার যাত্রীদের যাত্রাপথের একঘেয়েমী ঘোচাতে অভিনব এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারতের রেলওয়ে।এর ফলে এখন থেকে রথ দেখা আর কলা বেঁচা, এক যাত্রায় দুই লাভই উসুল করতে পারবেন বিলাসবহুল শতাব্দী ট্রেনের যাত্রীরা।

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ট্রেনের এক্সিকিউটিভ এবং চেয়ার ক্লাসের যাত্রীরা প্রসাধনী সামগ্রীর পাশাপাশি অন্যান্য বিলাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে ভারতের রেল মন্ত্রকের সূত্রে।

ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে পাওয়া যাবে পারফিউম, স্কিনকেয়ার, হ্যান্ডব্যাগ, ঘড়ি, জুয়েলারি সামগ্রীসহ রকমারি নানা পণ্য। বঞ্চিত হবেন না চকলেট প্রেমীরাও।

পরীক্ষামূলকভাবে আপাতত একমাসের জন্য ‘ভূপাল শতাব্দী’ ট্রেনেই কেনা-কাটার এ সুযোগ চালু হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

ট্রেনগুলোতে নিজেরা সরাসরি ব্যবসা পরিচালনা না করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দোকানদারির জন্য নিয়োগ দেবে ভারতীয় রেলওয়ে। ভূপাল শতাব্দীতে এ উদ্যোগ সফল হলে পর্যায়ক্রমে শতাব্দীর অন্যান্য ট্রেনেও এ ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।

চলন্ত ট্রেনে দোকানদারিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্য রেল কর্তৃপক্ষকে এককালীন ২ লাখ রুপি জামানত দিতে হবে, পাশাপাশি প্রাত্যহিক মোট বিক্রির ১২ শতাংশ হারেও জমা দিতে হবে রেলওয়ের কোষাগারে।

আপাতত প্রতিটি ট্রেনে ২টি পণ্যবাহী ট্রলি পুরো ট্রেনজুড়ে যাত্রীদের আসনের পাশ দিয়ে চক্কর লাগিয়ে সওদা বেচাই করবে বলে জানা গেছে।

পাশাপাশি ট্রেনের যাত্রীদের দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি দূর করতে চলন্ত ট্রেনের ভেতরেই বিনোদনের আরও বেশ কিছু বিশেষ ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের রেলওয়ে বিভাগ।

এর অংশ হিসেবে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যাত্রীরা টেলিভিশন সিরিয়ালসহ পছন্দমত টিভির অনুষ্ঠান দেখারও সুযোগ পেতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

ভারতের রেল বিভাগ যেখানে তাদের যাত্রী সাধারণের কল্যাণের দিকে খেয়াল রেখে একে একে যোগ করছে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা, সেখানে আমাদের রেল কর্তৃপক্ষ শুধুই খোঁড়া অজুহাতে যাত্রীদের কাঁধে ভাড়ার বোঝা না চাপিয়ে তাদের সাচ্ছন্দ্য ভ্রমণের দিকে একটু খেয়াল দেবেন কি?

বাংলাদেশের রেল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রীর কাছে সাধারণ যাত্রীদের এ সামান্য প্রত্যাশাটুকু পৌঁছাবে কি?

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ