কণিকা বন্দোপাধ্যায় স্মরণে রবীন্দ্র সংগীতের নতুন প্রতিভার সন্ধান

কণিকা বন্দোপাধ্যায় স্মরণে রবীন্দ্র সংগীতের নতুন প্রতিভার সন্ধান

কণিকা বন্দোপাধ্যায়। রবীন্দ্র সংগীতের কিংবদন্তীর শিল্পী। কেবল রবীন্দ্র সংগীতের কালজয়ী শিল্পী হিসেবেই নন, ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পীদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয় তাকে।

১২ অক্টোবর এই মহান শিল্পীর ৮৮তম জন্মদিন। প্রিয় শিল্পীর জন্মদিনকে সামনে রেখে মিতালী, ভারত-বাংলাদেশ সংস্কৃতি সংসদ ও পদাতিক বাংলাদেশ যৌথভাবে আয়োজন করছে ‘রবীন্দ্রসংগীতে নতুন প্রতিভার সন্ধান’ শীর্ষক বিশেষ প্রতিযোগিতার।

১৬ থেকে ২৫ বছর বয়েসী যে কেউ অংশ নিয়ে যাচাই করে নিতে পারেন তার সংগীত প্রতিভা।

প্রতিযোগিতায় মোট পুরস্কার মূল্য থাকছে নগদ ২৬ হাজার টাকা ও ‘মোহর-কণিকা সম্মাননা’ সনদপত্র। প্রতিযোগিতার প্রবেশপত্র পাওয়া যাবে মোহরকুঞ্জ, ক্যাথিড্রিল রোড, কলকাতা-৭১ ,  সর্বভারতীয় সংগীত ও  সংস্কৃতি পরিষদ-১০৮ এ, এপিসি রোড, প্রথম তলা, কলকাতা-৬।

যোগাযোগ-৯৮৩০২৮৯৭৩৫, ৯৮৩০২৪৩৫৫৪, ৮৯৬১৫৩১২৯৪, ৯৩৩১০৪৭৫৭৬, ই-মেইল: [email protected], website: www.konikamohar.com

প্রসঙ্গত, শিল্পী কণিকা বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯২৪ সালের ১২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীতে। টপ্পা অঙ্গের রবীন্দ্র সংগীতে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। রবীন্দ্র সংগীত ছাড়াও অতুলপ্রসাদের গানেও তিনি সমান পারদর্শী। জীবনের সিংহভাগ সময় তিনি কাটিয়েছেন ভারতের শান্তিনিকেতনে। ভারতের মতো বাংলাদেশেও তিনি সমান জনপ্রিয়।

১৯৭২ সালে কণিকা বন্দোপাধ্যায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরে আসেন।  সে সময়কার স্মৃতি রয়েছে তার জবানিতেই। তার লেখায় তিনি বলেন, ‘‘সেবার দেখা হল শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। তখন তিনি বাংলাদেশের হৃদয়ের মণি। দেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গভবনে ঢুকতে স্বাগত জানালেন স্বয়ং মুজিবুর রহমান। আমাকে বললেন, জানেন আপনার রেকর্ড ছিল আলমারি ভর্তি। শয়তান ইয়াহিয়ার দল সব ভেঙে তছনছ করেছে। আপনার গানের আমি খুব ভক্ত। আমাদের সঙ্গে ছিল আমার গাওয়া দুটি লং প্লেয়িং রেকর্ড। উপহার দিলাম তাকে। রেকর্ড দুটো মাথায় ঠেকিয়ে বললেন, আপনার কণ্ঠের গান বয়ে এনেছেন আমাকে উপহার দিতে। এর থেকে বড় আর কি হতে পারে? ’’

বিনোদন