1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৩ অপরাহ্ন

বিচারক কামরুন্নাহারকে শোকজ করা হবে : আইনমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১
  • ৩৩ Time View

ধর্ষণ ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে পুলিশকে মামলা না নেওয়ার পর্যবেক্ষণ দেওয়া বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের বক্তব্যকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির চিঠি পেলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এর পর আইন অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেবে।

আজ রবিবার (১৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান।

রবিবার সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিচারক কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ওই বিচারককে আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি এখনো পাননি বলেও জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

এদিকে প্রত্যাহারের আদেশ পেয়ে আজ এজলাসে বসেননি বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার। আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আদালতে পৌঁছান বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার। আদালতে সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারকাজ শুরু হয়। তবে বিচারকাজ শুরু হওয়ার আগেই খাসকামরায় বসেই উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পান তিনি। এর পর আর এজলাসে বসেননি।

গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) একটি ধর্ষণ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে খালাস দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল কাজে অভ্যস্ত। তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গেছেন। সেখানে গিয়ে সুইমিং করেছেন। ঘটনার ৩৮ দিন পর তারা বললেন, ‘আমরা ধর্ষণের শিকার হয়েছি’। অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া এর পর থেকে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায় তা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ