বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইচ্ছে করলে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন ও ইলিয়াস সানির হাতে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরিয়ে দিতে পারে। বোর্ডের চুক্তির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ এনে আর্থিক জরিমানা করলেও করতে পারে। কিন্তু বিসিবি অত কঠিন করে ভাবছে না। ক্রিকেটারদের পাশে থেকে সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বোর্ডের।
জাতীয় দলের পাঁচ ক্রিকেটার বিসিবিকে না জানিয়ে শ্রীলঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এসএলপিএল)’র সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। যদিও সংশ্লিষ্ট ফ্রেঞ্চাইজির সঙ্গে তাদের আনুষ্ঠানিক কোন চুক্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু এসএলপিএলে নিবন্ধনকেই চুক্তি বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
জিম্বাবুয়ে থেকে ফেরার পর তরিঘরি করে এজেন্টের মাধ্যমে এসএলপিএলে নিবন্ধন করেন জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। বোর্ডের চুক্তিতে নেই এমন অনেকেও নিবন্ধন করেন। তাদের মধ্য থেকে পাঁচ জন এসএলপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। মুশফিকুর, নাসির ও সানি খেলবেন নাগেহারিরা দলে। সাকিব উথরা এবং ওয়েম্বা দলে খেলবেন তামিম।
এত কিছু হয়ে যাওয়ার পরও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)’র পক্ষ থেকে বিসিবিকে এখন পর্যন্ত কোন কিছু জানায়নি। ক্রিকেটাররাও বোর্ডকে বিষয়টি অবহিত করেনি। সংবাদমাধ্যম থেকে খবর পেয়ে বোর্ড উল্টো ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এবিষয়ে জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমে সরল স্বীকারোক্তি,‘আমরা আসলে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম কি হয় না হয়। সে জন্য জানাতে চাইনি। ভেবেছি যদি হয় তারপরে জানাবো। এছাড়া ওই সময় জাতীয় দলেরও কোন খেলা নেই। সে জন্য এজেন্টের মাধ্যমে আমরা এসএলপিএলে নিবন্ধন করি। হ্যাঁ একটা ভুল হয়ে গেছে, বোর্ডেকে জানিয়ে কাজটা করা উচিৎ ছিলো। এখন বোর্ড যদি মনে করে আমরা খেলবো তাহলে খেলতে যাবো। যদি না চায় তাহলে খেলতে যাবো না।’
মুশফিক জানান, তারা মনে করেছেন এজেন্ট থেকে বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের এজেন্ট স্কয়ারডিলস কোন ধরণের যোগাযোগ করেনি। এমনকি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডও বিসিবিকে এবিষয়ে অবহিত করেনি। বিসিবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন,‘আমাদের কাছে কোন ধরণের তথ্য নেই। চুক্তিতে কি আছে তাও আমরা জানি না। কাগজ দেখার পর বলতে পারবো তারা কি করবে। বোর্ডে আলোচনা হয়েছে এক বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলে ভালো হবে। কিন্তু কাগজে যদি শর্ত শিথিল থাকে তাহলে তিন বছরের জন্য চুক্তি করতে পারবে।’
ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইও বলেন,‘ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিষয়টি দেখে। তারা যদি কোন ধরণের সুপারিশ করে তাহলে পরবর্তীতে তা শৃঙ্খলা কমিটি দেখবে। কিন্তু আমার মনে হয় এ বিষয়ে কোন একটি জায়গায় ফাঁক রয়ে গেছে। যে জন্য এই সমস্যাটি হয়েছে।’
এদিকে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার সাব্বির খান।