1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন

বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন রাজ্জাক

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১ জুলাই, ২০১২
  • ৯৩ Time View

কয়েকটা দিন পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন জাতীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। পছন্দের মানুষের সঙ্গে ঘর বাঁধতে যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছর পার করে দেওয়া বাঁহাতি স্পিনার সংসার জীবনেও সফল হতে চান। পাঠকদের জন্য এক সাক্ষাৎকারে খোলামেলা অনেক কথা বলেছেন রাজ্জাক।

** দর্শক হিসেবে কোন খেলা দেখেন?

রাজ্জাক: ফুটবল এবং টেনিস দেখতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে টেনিসের খেলাগুলো আমি মিস করি না।

**মেয়েদের টেনিসে বেশি আগ্রহ?

রাজ্জাক: রজার ফেদেরারের খেলা দেখি। মেয়েদের অনেকের খেলা ভালো লাগে। যে ভালো খেলে এবং দেখতে সুন্দর আমি তার ভক্ত।

** টেনিসে সুন্দর মেয়ে তো অনেক আছে, আপনি কতজনের ভক্ত?

রাজ্জাক: কোনো একজন ভক্ত হলে লস হয়ে যাবে। অন্যদের মন খারাপ হবে। তাই আমি অনেকের ভক্ত।

** আপনার মেয়ে ভক্ত বেশি না ছেলে ভক্ত?

রাজ্জাক: কঠিন প্রশ্ন। এটা তো যাচাই করার উপায় নেই। ছেলে ভক্তের পাশাপাশি মনে হয় বেশ কিছু মেয়ে ভক্তও আছে।

**কত জনের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছেন?

রাজ্জাক: অনেক পেয়েছি। আমি একা তো এতজনের সঙ্গে প্রেম করতে পারবো না। তাই একজনকেও গ্রহণ করিনি।

** বিয়ে করছেন কবে?

রাজ্জাক: হাসি..। আর মাত্র কয়েকটা দিন ব্যাস। ১০ জুলাই বিয়ে করছি। দোয়া করবেন।

** ইয়ে করে বিয়ে?

রাজ্জাক: বলা যাবে না। তবে আমরা একে অন্যকে চিনি। ও কম্পিউটার সাইন্স থেকে পড়ালেখা করেছে।

** আপনার কাছে অনেক প্রেমপত্র আছে হবু স্ত্রীকে জানিয়েছেন?

রাজ্জাক: নুসরাত তো বলে, তুমি কত মেয়ের মন ভাঙতে যাচ্ছো। কতজন যে হতাশ হবে।

** কোমল মনের না শক্ত মানসিকতার মানুষ আপনি?

রাজ্জাক: আমি মানসিক ভাবে খুব শক্ত। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারি। অভিজ্ঞতা থেকে এটাই মনে হয়েছে আমার কাছে।

** একটা চারিত্রিক গুণ বলেন যে জন্য আপনি গর্ব করতে পারেন?

রাজ্জাক: কোনো মানুষের ক্ষতি চাই না। কেউ কষ্ট দিলেও মনে মনে আল্লাহ’কে বলি যাতে তার ক্ষতি না হয়। কেউ বলতে পারবে না আমার দ্বারা কারো অনিষ্ট হয়েছে।

** উচ্চাকাঙ্খা আছে?

রাজ্জাক: বললে হয়তো অনেকে বিশ্বাস করবে না। আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। ক্রিকেট ছাড়া কোনো ধরনের উচ্চাকাঙ্খা নেই। আমি যাতে ভালো ভাবে চলতে পারি, মানুষের কাছে যেতে না হয়, অতটুকু আয় করতে পারলে আমি খুশি। খুব অর্থবিত্ত আমি আশাও করি না।

** সতীর্থদের কাছে আপনি ‘লাল্লা’ হলেন কী করে?

রাজ্জাক: হাসি..। ২০০৪ সালে আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েছিলাম। খেলার সময় গরমে লাল হয়ে যেতাম। আর একটা লাল গেঞ্জিও (টি-শার্ট) ছিলো। সুজন ভাই তখন নামটা দিয়েছিলেন। ‘লাল্লা’ বলে ডাকতেন। ওই থেকে লাল্লা নামটা ছড়িয়ে গেছে।

**কখন মনে হলো আপনি বড় ক্রিকেটার হতে যাচ্ছেন?

রাজ্জাক: খেলোয়াড় হবো ছোট সময় তাও ভাবতে পারতাম না। বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার পর মনে হয়েছে আমি ক্রিকেটার হবো। মনে মনে ভাবতাম জাতীয় দলে খেলতে হবে। কিন্তু কোনো দিন প্রকাশ করিনি। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পরও খুব উচ্ছ্বাস দেখাইনি।

** কোন অবস্থায় আপনি ভালো খেলেন?

রাজ্জাক: ফ্রি থাকলে বেশি ভালো করা যায়। আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হলে কাজ করতে পারি না। স্বাধীন থাকলে যে কোনো কাজ করতে পারি। সফল হতে পারি।

** ক্রিকেটের সুখকর স্মৃতি কোনটি?

রাজ্জাক: ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো কেটেছে। আমরা যে দল তাতে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পারবো ভাবতেও পারিনি। নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের সঙ্গে আগে খেলার অভিজ্ঞতা ছিলো না। ওই বিশ্বকাপে তাদের সঙ্গেও খেলতে পারায় খুব ভালো লেগেছে।

**স্লেজিং করেন?

রাজ্জাক: আন্তর্জাতিক ম্যাচে একবারই স্লেজিং করেছি। ২০০৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেনের সঙ্গে অনেক সময় ধরে সেøজিং হয়েছে। তিনি আমার বল ভালো খেলতে পারছিলেন না। পুরো ছয় ওভার ধরে হেইডেনের সঙ্গে কথার যুদ্ধ হয়েছে। এখন আমাকে কেউ কিছু বলে না আমিও অন্যকে কিছু বলি না।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ