1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন

আসামে মুখ থুবড়ে পড়েছে রেল যোগাযোগ

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৩০ Time View

সম্প্রতি ভারতে পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-সিএবি)। এই বিলের জেরে জ্বলছে উত্তর-পূর্ব ভারত। বিশেষ করে আসামের একটি অংশ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। শনিবার ফের আসাম জুড়ে বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে আশঙ্কা করছে বিভিন্ন মহল।

বিভিন্ন সংগঠন শুক্রবার আসামে বন্‌ধ ডেকেছিল। এর জেরে গোটা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের পরিষেবা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। সোমবার থেকেই একটানা ট্রেন বাতিলের ঘটনা ঘটছিল। শুক্রবার তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। অনেক ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। অধিকাংশ ট্রেন চলছে অস্বাভাবিক দেরিতে। কোন ট্রেন কোথায় গিয়ে থমকে যাবে, কোনও নিশ্চয়তা নেই।

আসামের এই অস্থিরতার আঁচ পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরবঙ্গের ওপর। শুক্রবার সকাল থেকে পরপর আলিপুরদুয়ার ও গুয়াহাটির মধ্যে চলাচলকারী শিফং এক্সপ্রেস, ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়। সবচেয়ে বিপাকে পড়েন শিয়ালদা–‌ডিব্রুগড় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। ট্রেনটিকে বৃহস্পতিবার রাতেই আলিপুরদুয়ার স্টেশনে এনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার বিকেল চারটেয় ফের নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে শিয়ালদা যাওয়ার কথা। গত ৪ দিনের মতো শুক্রবারও হাজার হাজার রেলযাত্রী এর জেরে বিপাকে পড়েন। স্টেশনে আটকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে আটকে রয়েছেন ত্রিপুরার বাসিন্দা ৫০ জনের একটি দল। এই দলের প্রতিনিধি অনুকূল বিশ্বাস, অজিত ভট্টাচার্যরা আতঙ্কিত।

তাঁরা বলেন, কীভাবে ১৫০০ কিমি দূরে বাড়ি পৌঁছতে পারব জানি না। হাতে টাকা শেষ হয়ে এসেছে।

জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন মানুষ আটকে রয়েছেন আসামের বিভিন্ন এলাকায়। তাঁরা কীভাবে নিরাপদে ফিরে আসবেন, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকেরা।

এদিকে, সামগ্রিক পরিস্থিতির জেরে ট্রেনের টিকিট বাতিল করার হিড়িক পড়েছে সীমান্ত রেল জুড়ে। গত পাঁচ দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে রেলের ক্ষতি।

আলিপুরদুয়ার ডিভিশন সূত্রে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে খাবারের স্টলগুলিতে খাবার, পানীয় জলের জোগান নিশ্চিত করতে চাইছে রেল। সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা শুভানন্দ চন্দা বলেন, ‌গুয়াহাটি থেকে উজান আসামে আটকে পড়া রেল যাত্রীদের নিয়ে যেতে দু‌টি স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। রেল যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে ট্রেনে।

এদিকে, আসাম–বাংলা সীমান্তের পরিস্থিতি স্পর্শকাতর থাকায়, শুক্রবার কড়া পুলিশি নজরদারি ছিল রেলপথ জুড়ে। আইবি আইজি (‌বর্ডার)‌ দেবাশিস বড়াল, জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বারবিশায় সীমান্ত এলাকায় যান। নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা প্রতিবেশী রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যে ট্রাকচালকরা বারবিশায় আটকে রয়েছেন, তাঁরা আসামের দিকে যেতে চাইছেন না। তবে তাঁদের যেন কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রাক চালকদের থানার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।

একদিকে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ, অন্যদিকে সড়কপথেও আলিপুরদুয়ার ও আসামের কোকরাঝাড় জেলার মধ্যে কোনও যোগাযোগ ছিল না শুক্রবার। বাংলা–‌আসাম সীমান্ত এলাকায় চলছে কড়া নজরদারি। বারবিশা এলাকায় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দূরপাল্লার ট্রাক। অশান্তির আশঙ্কায় বেশ কিছু এলাকায় দোকান বন্ধ ছিল। রাস্তায় যানবাহনও ছিল একেবারেই কম। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলায় ব্যবসা–‌বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

সূত্র : আজকাল

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ