1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০২ অপরাহ্ন

উত্তরার ডিপিএস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অধ্যক্ষকে হাইকোর্টে তলব

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ২০ Time View

ভারতের জাতীয় সংগীত জন গণ মন, জাতীয় ফল আম, জাতীয় পশু বাঘ, জাতীয় ফুল পদ্ম, জাতীয় পাখি ময়ুর, জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী। এসব কিছুই পড়ানো হচ্ছে বাংলাদেশের একটি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে। শুধুই এসব নয়, ভারতের বিভিন্ন উৎসব, জাতীয় দিবস, বিভিন্ন প্রদেশের নাম ও রাজধানীর নাম, বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের নাম মেখানো হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের। এসবের পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় লেখা বইও পড়ানো হচ্ছে।

এসব পড়ানো হচ্ছে উত্তরায় অবস্থিত ডিপিএস-এসটিএস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। এ কারণে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হর্ষ ওয়ালকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৩ জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদেশি সংস্কৃতির চর্চা ও অশ্লীল পাঠ্যপুস্তক পড়ানোয় তাকে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে। দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা না করায় আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাকদের মধ্যে ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, শফিউল আযমসহ ১৫ জন অভিভাবকের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত।

রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। ডিপিএস-এসটিএস স্কুলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ওমর সাদাত।

আদেশের পর ব্যারিস্টার অনিক আর হক সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৭ সালের ২৫ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে বাংলাদেশে থাকা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসসহ সকল জাতীয় দিবসসমূহ যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি দেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী রবীন্দ্র-নজরুল, বঙ্গবন্ধুসহ স্বাধীনতায় আত্মদানকারীদের জীবনী নিয়ে অনুষ্ঠান করা এবং বাংলা ভাষা শিক্ষার উপর জোর দিতে বলা হয়। কিন্তু সেই রায় অমান্য করে উত্তরার ডিপিএস-এসটিএস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভারতীয় সংস্কৃতির চর্চা ও ভারতীয় বিভিন্ন দিবস, ব্যক্তি সম্পর্কে পড়ানো হচ্ছে।

এ ছাড়া স্কুলটির অষ্টম শ্রেণির বই অশ্লীলতায় ভরা (প্রকাশ অযোগ্য)। যা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে। বিষয়টি অভিভাবকদের নজরে আসার পর ১৫ জন অভিভাবক অধ্যক্ষকে আইনি নোটিশ দেন। কিন্তু নোটিশের জবাব দেননি তিনি। এ কারণে অভিভাবকরা রিট আবেদন করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ