1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৫ অপরাহ্ন

মশার নতুন কীটনাশক প্রয়োগ শুরু

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০১৯
  • ১৮ Time View

চীন থেকে নিয়ে আসা মশার নতুন কীটনাশকের আনুষ্ঠানিক প্রয়োগ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে এসব কীটনাশক প্রয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।

শুক্রবার (০৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে কীটনাশক প্রয়োগ শুরু করা হয়। নতুন পদক্ষেপ হিসেবে মোটরসাইকেলে করে এই কীটনাশক ছিটানো হয়।

মন্ত্রী আসার আগে বাইকের মাধ্যমে ওষুধ ছিটানোর প্রক্রিয়া দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসময় মেয়র বাংলানিউজকে বলেন, মশককর্মীদের জন্য এটাই চেয়েছিলাম। হেঁটে হেঁটে ওষুধ দিতে হয় বলে তাদের অনেক অভিযোগ শুনতাম। এখন আর তা থাকবে না। একবার ওষুধ দেওয়া শেষ হলে অফিসে এসে দ্রুত রিফিল করে ফের ওষুধ দিতে যেতে পারবে তারা।

এরপর মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এলে তাকেও নতুন এই যন্ত্র দেখান আতিক। পরে মন্ত্রীকে নিয়ে টাউন হল এলাকার বাজারের বিভিন্ন দোকান, আবাসিক ভবন এবং অলিগলিতে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন মেয়র। তখন ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং মশার প্রজননস্থল হতে পারে এমন কিছু স্থান চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার সর্বাত্মকভাবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে। আজ ছুটির দিনেও আমরা এসেছি, আপনারা এসেছেন। সচিবালয়ে গেলে দেখবেন আমাদের মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সব কর্মকর্তা কাজ করছেন। এই ধারা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গ্রাম পর্যায়ের দপ্তরেও অব্যাহত আছে। দুই সিটি করপোরেশনকে আমরা নতুন করে এক হাজার ৬০০ কর্মী দিয়েছি।
মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখান ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে শিশুদের পাঠ্য বইয়ে সচেতনতামূলক অধ্যায় অন্তর্ভুক্তির তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই দেখেছি শিশুদের পাঠ্য সিলেবাসে ডেঙ্গু বা মশার বিষয়ে পড়ানো হয়। ডেঙ্গু বিষয়ে আমাদের বছরের ৩৬৫ দিন কাজ করতে হবে। আমাদের সবার দায়িত্ব আছে। সরকার তার সব শক্তি প্রয়োগ করলেও শহরের সব বাসার পরিবেশ ঠিক করতে পারবে না। কিন্তু প্রতিটি বাড়ির মালিক যদি একদিকে নিজ নিজ উদ্যোগে কাজ করেন তাহলে শহরের সব বাড়ি একদিনে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

অন্যদিকে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ওষুধ সব দপ্তরে পরীক্ষিত হয় এসেছে। আজ থেকে নতুন ওষুধ ছিটানো শুরু হলো। তবে আমরা যেমন ওষুধ ছিটাবো তেমনি সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমাদের কাজ ওষুধ ছিটানো হলে নগরবাসীর কাজ সচেতন হওয়া। আমরা যারা ঈদে বাড়ি যাচ্ছি সবাই খেয়াল রাখবো যেন আমাদের বাসার ভেতরে বালতি, বদনা, গাছ বা ফুলের টব এগুলো যেন উল্টে যাই, এগুলোতে পানি জমতে না পারে। জানালার পর্দা ভাঁজ করে যাই পারলে অ্যারোসল ছিটিয়ে যাই। কমডের ঢাকনা যেন নামিয়ে যাই।

এসময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ