1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপনে বর্ণবৈষম্যের জেরে উত্তাল সিঙ্গাপুর

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৯
  • ২৯ Time View

বিজ্ঞাপনে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে সিঙ্গাপুরে। আর এই প্রেক্ষিতে দেশটিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটিতে চীনা বংশোদ্ভূত এক অভিনেতাকে দিয়ে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মুখচ্ছবি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন নির্মাতারা। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। যেমন ভারতীয় হিসেবে যে চরিত্রটিকে দেখানো হয়েছে, সেটির ‘মেক-আপ’ করার সময় ওই অভিনেতার গায়ের রং করা হয় বাদামী। আবার ওই একই অভিনেতা যখন মালয়েশিয়ার এক নারীর ছবি তুলে ধরেন, তখন তাঁর গায়ের রং বদলে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বদলে যায় তাঁর সাজপোশাক-ও। এখানেই শেষ নয়। একই অভিনেতাকে দিয়ে এক চীনা পুরুষ ও নারীর চরিত্রেও সাজানো হয়। এবারও বদলে যায় ‘কম্পপ্লেকশন’। বিজ্ঞাপনটি মূলত ‘প্রিন্ট’ মাধ্যমের জন্য নির্মিত। প্রত্যেক চরিত্রের হাতেই রয়েছে খাবারের মেনু। লক্ষ্য একটাই, ‘টেক-স্যাভি’-সিঙ্গাপুরে কত সহজে ‘ইলেকট্রনিক-পেমেন্ট’-এর মাধ্যমে খাবারের দাম মেটানো যায়, তা নিয়ে প্রচার করা। বিষয়টি করাও হয়েছে সরকারি উদ্যোগে।

সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন দেশের মানুষের বসবাস। এর মধ্যে যেমন চীনা জনজাতির মানুষ রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন ভারতীয়রা-ও। তা ছাড়াও মুসলিম ধর্মাবলম্বী মালয়ীরাও রয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা সেখানে গিয়ে ঘাঁটি গেড়েছেন। ফলে সব মিলিয়ে আক্ষরিক অর্থেই নানা বর্ণের মানুষ সিঙ্গাপুরে পাশাপাশি থাকেন। সেদিক থেকে দেখলে, সিঙ্গাপুরে বর্ণসাম্য অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। কিন্তু ‘ই-পেমেন্ট’-এর প্রচার করতে গিয়ে ব্রডকাস্টার ‘মিডিয়াকর্প’ সম্ভবত সে বিষয়টি মাথায় রাখেনি। আর তাই চীনা বংশোদ্ভূত ডেনিস চিউকে চারটি চরিত্রেই ব্যবহার করে তারা। পরে অবশ্য বিপুল বিতর্কের মুখে পড়ে ক্ষমাও চায় মিডিয়াকর্প। তবে সেটিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কিনা, সেটা তারা সরাসরি জানায়নি। যদিও দেখা যাচ্ছে, কিছু ওয়েবসাইট এবং হোর্ডিং যেখানে গত সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি প্রদর্শিত হতো, সেখান থেকে বিজ্ঞাপনটি উধাও হয়েছে।

অন্য জাতির চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে চামড়ার রং গাঢ় করার এই প্রবণতাকে সিঙ্গাপুরে ‘ব্রাউনফেস’ বা ‘ব্ল্যাকফেস’ বলে অভিহিত করা হয়।

এই বিজ্ঞাপনী বিতর্ক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রকম প্রতিক্রিয়া হয়েছে। রুবি থিয়াগারাজন নামে এক ম্যাগাজিনের এডিটর টুইটারে লেখেন, ‘২০১৯ সালেও সিঙ্গাপুরে বিজ্ঞাপনে ব্রাউনফেস করা হলো। ভেবেছিলাম এ জিনিসের মেয়াদ বোধহয় উত্তীর্ণ।’

সোমবারের মধ্যেই প্রায় তিন হাজার বার রিটুইট হয় এটি। অনেকের আবার প্রশ্ন, সব জনগোষ্ঠীর চরিত্রেই একটি বিশেষ দেশের বাসিন্দার প্রতিনিধিকে ব্যবহার না করে, প্রত্যেকটি চরিত্রের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের অভিনেতাকে ব্যবহার করা হলো না কেন?

এক টুইটার ব্যবহারকারীর প্রশ্ন, ‘প্রত্যেক জাতির একজন অভিনেতাকে ব্যবহার করা হলো না কেন? সেটা কি এতটাই কঠিন ব্যাপার?’

বিষয়টি যে খুবই অসংবেদনশীল, তা মেনেছেন অনেকেই। তবে বিপরীত মতামতও রয়েছে। কারও কারও মতে, একটি বিজ্ঞাপনকে এতটা গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ